সহিত অধ্যয়ন করিতে নিযুক্ত হইল। এইরূপে কালক্রমে ভারতবর্ষের নাম ইউরোপে প্রচারিত হইয়া পড়িল সেকালে “স্বর্ণখনি” বলিয়া ভারতবর্ষের সুখ্যাতি ছিল; অধ্যবসায়ী ইউরোপীয়গণ সেই স্বর্ণখনি হস্তগত করিবার আশায় নানা পথে সমুদ্র-যাত্রা করিলেন এবং অধ্যবসায়গুণে কালক্রমে ভারতবর্যের সন্ধানলাভ করিলেন। দলে দলে। ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গগণ ভারতবর্ষে পদার্পণ করিতে লাগিলেন; কিন্তু সেই স্বর্ণখনি সহসা হস্তগত করিবার সেরূপ সম্ভাবনা না দেখিয়া[১] তাহার ধনরত্ন কুক্ষিগত করিবার আশায় দেশে দেশে বাণিজ্যালয় খুলিয়া, পণ্যদ্রব্য সাজাইয়া, ডাক হাঁক আরম্ভ করিলেন। তাঁহাদের পণ্যদ্রব্য কতকগুলি কাচের পুতুল,—এদেশের লোক তাহাতে ভুলিল না। ইংরাজ বণিক গ্রামে গ্রামে সেই সকল পণ্যদ্রব্য বহিয়া “বহুত আচ্ছা মাল যাতা হ্যায়” বলিয়া অনেক চীৎকার করিলেন, কৌতুক দেখিবার জন্য কেহ কেহ বোঝা নামাইতে বলিল, কিন্তু একজনেও ‘সওদা' করিল না![২] সওদাগরেরা অবশেষে কুঠি খুলিয়া এ দেশের কার্পাস এবং পট্টবস্ত্র বিলাতে রপ্তানি করিতে আরম্ভ করিলেন, কারবার বেশ জাঁকিয়া উঠিল, দেশের লোকের সঙ্গেও একটু আধটু করিয়া আত্মীয়তার সূত্রপাত হইল।
মুসলমান নবাব বিদেশীয় বণিকের সৌভাগ্য-গর্ব্বে সেরূপ আনন্দ অনুভব করিলেন না। ইংরাজের কলিকাতা, গোবিন্দপুর ও সুতানটী নামক তিনখানি গণ্ডগ্রাম লইয়া ছোটখাট একটা দুর্গ ও বাণিজ্যালয়