দুর্গ হস্তগত হইল। দেশের লোকে দলে দলে কলিকাতায় প্রত্যাবর্ত্তন করিল। ইংরজি-বাণিজ্য পুনঃসংস্থাপনের সূত্রপাত হইল। ক্লাইবের কর্ত্তব্যকার্য্য শেষ হইয়া গেল; কিন্তু লঙ্কাভাগ ত হইল না! সুতরাং দেশ লুণ্ঠনের জন্য সকলেই ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন! অবশেষে হুগলী লুণ্ঠন করা স্থির হইল। হুগলী বহুদিনের পুরাতন স্থান; ফৌজদারের রাজধানী; বাণিজ্যের সর্ব্বপ্রধান ভিত্তিভূমি;—সেখানে অবশ্যই অগণিত ধনরত্ন পুঞ্জীকৃত থাকা সম্ভব। মেজর কিল্প্যাট্রিক বহুদিন নিষ্কর্ম্মা বসিয়া রহিয়াছেন, তাঁহার উপরেই লুণ্ঠনের ভার সমর্পিত হইল। পদাতিক, গোলন্দাজ, ভলণ্টিয়ার,—লুণ্ঠনলোভে ইংরাজমাত্রেই হুগলীর দিকে ছুটিয়া চলিল। হুগলীর দুর্গ এবং রাজধানী লুষ্ঠিত হইল; তাড়াতাড়ি পাড়াপাড়ি করিয়া ইংরাজসেনা যতদূর পারিল লোকের বাড়ীঘর ভূমিসাৎ করিয়া কলিকাতায় প্রত্যাবর্ত্তন করিল।[১]
ওয়াট্সন্ এবং ক্লাইব বঙ্গদেশে শুভাগমন করিবামাত্র সিরাজদ্দৌলার নিকট সন্ধির প্রস্তাব লিখিয়া পাঠাইয়াছিলেন। সিরাজদ্দৌলাও সম্মতিসূচক প্রত্যুত্তর পাঠাইয়া দিয়াছিলেন। সে কথায় কিছুমাত্র আস্থা স্থাপন না করিয়া, ইংরাজেরা বাহুবলে কলিকাতা আক্রমণ করিয়া যথেষ্ট ধৃষ্টতার পরিচয় প্রদান করিয়াছিলেন। তথাপি সিরাজদ্দৌলা তাহাতে উত্ত্যক্ত না হইয়া পুনরায় লিখিয়া পাঠাইলেন:—
You write me, that the King your master sent you into India to protect the Company's settlements, trades,
- ↑ The fort and city were plundered, and as magnificent houses destroyed, as the short time would permit.— Scrafton's Reflections.