ত আরও জাহাজ জাহাজ ফৌজ লইয়া আসিব। ইহাদের সহায়তায় এ দেশে এমন ভয়ানক সমরানল জ্বালিয়া দিব যে, সমস্ত জাহ্নবীজল শুষ্ক করিয়াও আপনি তাহা নির্ব্বাণ করিতে পারিবেন না। আপাততঃ বিদায় গ্রহণ করিতেছি; কিন্তু যিনি জীবনে কাহারও সঙ্গে কথার অন্যথা করেন নাই, তিনিই যে স্বহস্তে এই পত্র লিখিতেছেন, এ কথা যেন আপনি কদাচ বিস্মৃত না হন।[১]
সিরাজদ্দৌলা এই পত্রের গূঢ়মর্ম্ম অনুধাবন করিয়া লিখিয়া পাঠাইলেন:—
“তোমাদের নিকট যে সেনাসাহায্য চাহিয়াছিলাম তাহার কি হইল? সন্ধিপত্রের অঙ্গীকৃত অর্থ শীঘ্রই পাঠাইয়া দিতেছি, কেবল দোলযাত্রা উপলক্ষে রাজকর্ম্মচারিগণ উৎসব-মগ্ন ছিলেন বলিয়াই বিলম্ব হইয়াছে। সন্ধিভঙ্গ করা আমার অভ্যাস নাই, যাহা স্বীকার করিয়াছি তাহা প্রদান করিবার সময়ে বাক চাতুরী করিয়া কাল হরণ করিব না। কেহ যদি তোমাদিগকে আক্রমণ করে, তখন আমি তোমাদের সহায়তা করিব। আমি এ পর্য্যন্ত ফরাসিদিগকে কপর্দ্দক সাহায্য প্রেরণ করি নাই, কেবল প্রজারক্ষার জন্যই হুগলীর ফৌজদার নন্দকুমারের নিকট কতকগুলি ফৌজ পাঠাইয়াছি মাত্র। এদেশের চিরন্তর প্রথা উল্লঙ্ঘন করিয়া তোমরা আমার অধিকারে কোনরূপ যুদ্ধ কলহ উপস্থিত না কর—ইহাই আমার একান্ত অনুরোধ।”[২]
এই পত্র পাইয়া সকলেই বুঝিলেন যে, সিরাজদ্দৌলা কিছুতেই যুদ্ধের অনুমতি দিবেন না। যাহা সহজে হইবে না, তাহা কৌশল ক্রমে সাধন করা ওয়াট্সনের উদ্দেশ্য হইয়া উঠিল। কি জন্য, কাহার দোষে সন্ধি হইল না, সে সকল কথার আনুপূর্ব্বিক উল্লেখ না করিয়া ওয়াট্সন্ লিখিয়া পাঠাইলেন ফরাসীদিগের দোষে সন্ধি হইল না; এবং যাহারা এরূপ চরিত্রের লোক আহাদের সহিত কিরূপ ব্যবহার করা কর্ত্তব্য, তদ্বিষয়ে সিরাজদ্দৌলার মত