পাতা:সুবল সখার কাণ্ড - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুবল সাখার কাও দাঁড়ালুম ; সেখানে মস্তািবড় বন-লতা, তার আড়াল থেকে সেই লতার মধ্যে দুটি চোখ রেখে দেখছিলুম-সে কি রূপ ভাই, যেন মেঘ হোতে বিদ্যুৎ এসে আমার বুকে শেলের মত বিধােল।” “তার পর সেই কুমারী স্নান করে উঠে হোসে হেসে সইদের সঙ্গে কথা কইতে কইতে পুরীর দিকে চলে গেলেন ; তার ভেজা চুল থেকে বিন্দু বিন্দু জল ঝড়ছে ও তিনি তঁার নীল সাড়ী দুই হাতে নিঙ্গড়িয়ে নিঙ্গড়িয়ে, যাচ্ছেন, আমার হৃদয়ও যেন সেই কোমল হাতের স্পর্শে শিউরে উঠতে লাগল-কল্পনায় ভাবলুম, আমি ত ভাই নীলচে কালো রং, আমি যদি মানুষ না হোয়ে সাড়ীখানি হাতুম। তবে আমার ভাগ্যেও বুঝি সেই কোমল হাতের ছোয়া ঘটত।” “এর পর সেই রূপের পুষ্পবৃষ্টি করতে कब्राड সে চলে গেল, মনে হ’ল যে পথে সে চলে গেছে, সে পথে সে শত শত পদ্ম ফুটিয়ে দিয়ে গেছে, তা না হোলে বাকি বেঁধে ভ্ৰমরের দল পথের ከፖ