পাতা:সুবল সখার কাণ্ড - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুবল সাখার কাণ্ড দন্তাগ্রে সোণার অক্ষরে লেখা “পৃথিবী”। সেই বরাহ শুধু মস্ত বড় নয়, তার শব্দে সমস্ত রাজপুরী থর থর করে কেঁপে উঠল, তার বর্ণ কি ভয়ানক ! যেন গভীর অমাবশ্যার আঁধার । কিন্তু সেই বর্ণের দীপ্তি ভয়াবহ হোয়েও যেন মধুর। দর্শকগণ বিস্ময়ে সেই বরাহকে প্ৰণাম করে উঠলে ; তার পর হল হাতে এক বিপুলকায় পুরুষ, শ্বেত-পদ্মের মত তার মুখখানি সুন্দর ; পরশু হাতে এক দীর্ঘকায় যোদ্ধা, তার কণ্ঠে লম্ববান পৈতা, কিন্তু ভ্ৰকুঞ্চিত-যেন-জ্বলন্ত ক্ষাত্ৰেয় তেজ বেরুচ্ছে-কখনও বা এক বিরাট সভায় এক তেজস্বিনী রমণীর অঞ্চল ধরে কোন ক্রুর-কৰ্ম্মা সৈনিক আকর্ষণ কচ্ছে। কেউ হেঁট মুখে বসে আছে, কেউ রোষান্দীপ্ত চোখে চেয়ে যেন সৈনিককে ভস্ম করে ফেলছে, কেউ রাজবেশ পরে সেই কাণ্ড দেখে হাসছে, কিন্তু সেই অসহায়া রমণীকে রক্ষা করবার জন্য একখানি হাতও সেই বিরাট সভায় উঠছে না। সমস্ত সভা እ9ኴ”