২
এর মধ্যে পুপেদিদি গেছে দার্জ্জিলিঙে। “সে” রইল মাথাঘষা গলিতে একলা আমার জিন্মায়। তার ভালো লাগছে না। আমিও জ্বালাতন হয়েছি। বলে, আমাকে দার্জ্জিলিং পাঠাও। আমি বললুম, কেন?
সে বললে—পুরুষ মানুষ বেকার বসে আছি, আত্মীয়-স্বজন ভারি নিন্দে করছে।
কী কাজ করবে, বলো।
পুপেদিদির খেলার রান্নার জন্যে খবরের কাগজ কুচিকুচি করে দেব।
এত মেহন্নত সইবে না। একটু চুপ করো দেখি। আমি এখন হুঁহাউ দ্বীপের ইতিহাস লিখছি।
হুঁহাউ নামটা শোনাচ্চে ভালো দাদা। ওটা তোমার চেয়ে আমার কলমেই মানাত ঠিক। বিষয়টার একটু আমেজ দিতে পারো কি?
ঠাট্টা নয়, বিষয়টা গম্ভীর, কলেজে পাঠ্য হবার আশা রাখি। একদল বৈজ্ঞানিক ঐ শূন্য দ্বীপে বস্তি বেঁধেছেন। খুব কঠিন পরীক্ষায় প্রবৃত্ত।
একটুখানি বুঝিয়ে বলে—কী করছেন তাঁরা? হাল নিয়মে চাষবাস করছেন?
একেবারে উল্টো, চাষের সম্পর্ক নেই।
আহারের কী ব্যবস্থা?
একেবারেই বন্ধ।
প্রাণটা?
৯