৪র্থ অধ্যায় ] ճiթԹI-3շjoլթի Nyq বিলক্ষণ প্ৰতিপত্তি লাভ করে, এবং এই দুৰ্দৈবের অবসান হইলে সতর বৎসর কাল (৪৭৯– — ৪৬২ সন) রাষ্ট্রমধ্যে ইহার প্রাধান্য বৰ্ত্তমান থাকে। ৪৬২ সনে এফিয়ালীটীস ও পেরিকীস ইহার কতকগুলি ক্ষমতা বিলোপ করিয়া এই প্ৰাধান্য খৰ্ব্ব করেন। তঁহাদিগের সংস্কারের ফলে ধৰ্ম্ম ও নীতির তত্ত্বাবধান - নরহত্যা প্রভৃতি অপরাধের বিচার এই সভার হস্তে থাকিয়া যায়, কিন্তু বিধিপরিদর্শনাদি অন্যান্য অধিকার অপহৃত হয়। (৫) রাজপুরুষগণ । আর্থানীয় সামাজ্যের চরম সৌভাগ্যকালে, অর্থাৎ পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যভাগে, চৌদশত রাজপুরুষ রাষ্ট্রের অধীনে কৰ্ম্ম করিতেন। তঁহাদের মধ্যে সর্বাগ্রে সেনাপতিদিগের ( Strategos ) কথা বলা কৰ্ত্তব্য। প্ৰতি বৎসর দশ জন সেনাপতি নির্বাচিত হইতেন ; প্ৰত্যেক শাখা লটারী করিয়া এক জন নির্বাচন করিত। প্ৰধান সেনাপতির উপাধি ছিল পলেমাখাস (Polemarchos)। শুধু সেনাপতিদিগেরই জন-সাধারণ সভা আহবান করিবার অধিকার ছিল ; এবং উহাতে তাহারা যে যে বিষয় উপস্থিত করিতেন, তাহাই সৰ্ব্বাগ্রে বিবেচিত হইত। বিবিধ সামরিক কৰ্ত্তব্য ছাড়া হঁহার রাজস্ব সচিব ও পররাষ্ট সচিবের কন্মও নিব্বাঙ্গ করিতেন। বস্তুতঃ ইহাদিগের কার্য্য এত বিবিধ ও বিচিত্র ছিল, যে সেগুলি সবিশেষ বর্ণনা করিতে গেলে এই প্ৰস্তাব দীর্ঘ হইয়া পড়িবে। আগীনীয় সামাজ্যে সেনাপতিত্বই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ, সুতরাং আপীনীয়গণের চরম আকাজক্ষার বিষয় ছিল । (২) আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, যে আথেন্সে প্ৰতি বৎসর নয় জন আখেন নিৰ্বাচিত হইতেন । এই নির্বাচনেও লটারীর প্রথা প্ৰচলিত ছিল। প্ৰত্যেক শাখা সুৰ্ত্তি দ্বারা দশ জন লোক নির্বাচন করিত, এবং এই এক শত জনের মধ্য হইতে আবার সুৰ্ত্তি দ্বারা নয় জন আখেনকে মনোনীত করা হইত। ইহার রাষ্ট্রপরিচালন সংক্রান্ত সমুদায় কৰ্ম্ম সম্পাদন করিতেন। এই নয় জন রাজপুরুষ লইয়া যে সমিতি
