পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঃ তাই করে তুমি, ভেবেই চলে । আমি এদিকে সিং সেজে বিয়ে বাড়ী যাই। অন্য হারটা নিয়েছে মনে আছে ? : মনে আছে ? সাধনা তাকে ঝাঝের সঙ্গে নালিশের সুরে জিজ্ঞাসা করছে তার ছোট হারটি বেচে দেবার কথা রাখালের মনে আছে কিনা-এখনো দু’মাস হয় নি । বিয়েতে দু’টি হার পেয়েছিল সাধন । চাকরী থেকে আচমকা বেকারত্বে আছড়ে পড়াটা গোড়ার দিকে একেবারে অসহ্য হয়ে উঠলে সাধনাই একরকম জোর করে তাকে দিয়ে ছোট হারটি বিক্ৰী করয়েছিল । রাখাল নিজেই বরং ইতস্ততঃ করেছিল কয়েকদিন । সাধনা দ্বিধা করে নি । বাড়তি ওই হারটা মানেই যখন কিছু নগদ টাকা, কেন তারা অনর্থক অচল অবস্থায় হিমসিম খাবে, পরদিন কি দিয়ে রেশন আনা বাজার করা হবে ভেবে কুল কিনারা পাবে না ? চাকরী কি আর হবে না। রাখালের ? তখন আবার সে তাকে গড়িয়ে দেবে ওরকম একটি সোণার হার। কিছু লোকসান হবে।-সোণার কারবারীরা সোণা কেনেও লাভ রেখে বেচেও লাভ রেখে । কিন্তু তার আর উপায় কি ! তখনকার চেয়ে আজ তাদের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে, কষ্ট তারা করছে অনেক গুণ বেশী । সেদিন বোধ হয় তারা কল্পনাও করতে পারত না যে এরকম অনটন সয়েও জীবন থেকে প্ৰায় সব কিছুই ছাটাই করে দিয়ে আধা উপবাসেও তারা বেঁচে থাকবে । মাসে মাসে চাকরীর বাধা মাইনে বন্ধ হওয়ামাত্র সবদিক দিয়ে এই চরম কষ্ট যেচে বরণ { cगाअl)=>दे