পাতা:সোনার চেয়ে দামী (প্রথম খণ্ড) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তবে এ গরুর দুধটা ছেলেমেয়েরাই খায়। বাছুরওয়ালা গরুটির দুধ ভিন্ন দোয়া হয়। সতীশের জন্য, জ্বালাও দেওয়া হয় ভিন্ন কড়াই-এ { নিয়ম-ভাঙ্গা অনিয়ম তার চেয়ে ছেলে“মেয়েদের পক্ষে মেনে নেওয়া অনেক সহজ । দোতলায় কোণার ঘরে পড়ানোর ব্যবস্থা । মেঝেতে শীতল পাটি বিছিয়ে দেওয়া হয় । বৈঠকখানা আছে কিন্তু সেখানে সতীশ বসবে নিজে। অন্তঃপুরে নিরিবিলিতেই ছেলেপিলের লেখাপড়ার ব্যবস্থা হওয়া উচিত । ছেলের মাষ্টারও খানিকটা গুরুজাতীয় মানুষ । পরের যমত তাকে বাইরের ঘরে বসিয়ে রাখতে মন খুতখুতে করে। শিক্ষাদানের মত পুণ্য কাজটা তিনি বাড়ীর মধ্যে ঠাকুর ঘরে করবেন। এটাই সঙ্গত । ভক্তিভাজন পুণ্যকৰ্মা মানুষ বলেই বাড়ীর লোকের সাধারণ “চা খাবারের ভাগ রাখালকে দেওয়া হয় না । বিশু খাবার খায়, একবাটি দুধ খায়, রাখাল জানাল দিয়ে খানিক তফাতে ফোকা মাটির মধ্যে ছেলেখেলার ঘরের মত ছোট ছোট কুঁড়ে দিয়ে গড় উদ্বাস্তুদের কলোনিটার দিকে চেয়ে থাকে। ভোলার মা ওই কলোনি থেকে ডিম বেচিতে বেরোয় চারিদিকের পাড়ায় । দেখা যায়, রাস্তার কলটাতে কলোনির দশ বারটি মেয়ে বেী ভিড় করেছে । পূজা পার্বণের প্রসাদ মাঝে মাঝে রাখাল পায়। বিশুর। মা অথবা তার বিধবা বােন নিৰ্ম্মলা থালায় সাজিয়ে ফলমূল Rr