পাতা:সোনার তরী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী । কাদিব দুজনে ; যদি ললিত কপোলে মৃদু হাসি ভাসি উঠে, বসি’ মোর কোলে, বক্ষ বাধি বাহুপাশে, স্কন্ধে মুখ রাখি হাসিয়ে নীরবে অৰ্দ্ধ-নিৰ্মীলিত আঁখি ; যদি কথা পড়ে মনে তবে কলস্বরে বলে যেয়ে কথা, তরল আনন্দ ভরে নিৰ্ব্বরের মত, অৰ্দ্ধেক রজনী ধরি’ কত না কাহিনী স্মৃতি কল্পনা লহরী মধুমাখা কণ্ঠের কাকলি ; যদি গান ভাল লাগে, গেয়ে গান ; যদি মুগ্ধ প্রাণ নিঃশব্দ নিস্তব্ধ শান্ত সম্মুখে চাহিয়া বসিয়া থাকিতে চাও, তাই র’ব প্রিয়া ! হেরিব অদূরে পদ্মা, উচ্চ তটতলে শ্রান্ত রূপসীর মত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রসারিয়া তমুখানি, সায়াহ্ন-আলোকে শুয়ে আছে ; অন্ধকার নেমে আসে চোখে চোখের পাতার মত ; সন্ধ্যাত বা ধীরে, সন্তপণে করে পদার্পণ, নদী নীরে অরণ্যশিয়রে ; যামিনী শয়ন তার দেয় বিছাইয়া, এক খানি অন্ধকার অনন্ত ভুবনে । দোহে মোরা রব চাহি” অপার তিমিরে ; আর কোথা কিছু নাহি, শুধু মোর করে তব করতল খানি, শুধু অতি কাছাকাছি দুটি জন প্রাণী