४२२ কালিদাস উপন্যাস । । অভিজ্ঞ হয়, তাহার উচিত এই যে যাহাতে আপদ হইতে নিস্তার পাওয়া যায় সৰ্ব্বদা এরূপ চেষ্টা করা কৰ্ত্তব্য, তৃণ রাশির মধ্যে বিবর খনন করিয়া অবস্থিতি করিলে তৃণ দাহক হুতাসন কখন দগ্ধ করিতে পারে না । যে ব্যক্তি ইহা জ্ঞাত অাছে সে অবশু আত্মরক্ষা করিতে পারে, আরও বিবেচনা কর, চিন্তারূপ শত্রু অন্তঃকরণে বাস করিয়া সৰ্ব্বদ শরীরকে পীড়ন করিতে থাকে, অতএব তুমি বুদ্ধিমতী ও বিদ্যাবতী হইয়। অধৈর্য্য হইও ন এবং অন্ধের ন্যায় কাৰ্য্য করিও না । কারণ যে ব্যক্তি অন্ধ, সে পথ নিরূপণ বা দিক নির্ণয় করিতে পারে না, ও অধীর লোকের বুদ্ধি স্থৈৰ্য্য থাকে না, আমি এই কথা মাত্র বলিলাম, তুমি বুদ্ধমতী বুঝিয়া লও । সৰ্ব্বদা ভ্রমণ করিলে পথ জানিতে পারা যায় ও নক্ষত্র দ্বারা দিক নির্ণয় হইতে পারে এবং যে ব্যক্তি আপনার ইন্দ্রিয় সকল বশীভুত রাখিতে পারে সে কখন আ বসন্ন হয় না, অতএব সত্যবতী তুমি ক্ষান্ত হও রাত্রি প্রভাতী হইল , তুমি দুশ্চিন্তা ত্যাগ করিয়া নিদ্রিত হও, এই বলিতে বলিতে রজনী শেষ হই য় গেল । অনন্তর রাজ ও রাণী উভয়ে আপন গৃহে গমন করিলেন, এবং অমাত্য দিগকে বলিলেন যে বরপাত্রের অনুসন্ধান কর, অনুসন্ধান করিয়া যে আ নিয়া দিতে পরিবে তাহাকে যথা "গ্য পুরস্কার ও রাজসংসার হইতে জায়গীর দিয়া সন্তুষ্ট করিব । এই বলিয়। রাজ্যের এলাকা স্থিত সকল স্থানেই লোকজন পাঠ ইয়। নুতন বর পাত্রের অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন । বর পাত্র কালিদাসের অন্বেষণ । এদিকে রাজবাটীর বড় ঘড়িতে ৫ টা বাজিয়া গেল, প্রাতঃ - কাল উপস্থিত কিন্তু দৈবের দুঘণ্টন বিবাহের রাত্রিতে বৃষ্টি
