পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস উপন্যাস । ১৩৫ জন্য ঐ মন্ত্র বিস্মৃত হইয়া রহিয়াছি, মাহ হউক এক্ষণে এই মন্ত্র প্রকৃষ্টরূপে আদ্যোপান্ত স্মরণ কর। কৰ্ত্তব্য বিবেচনায় প্রাণপণে ঐ সিদ্ধ মন্ত্র সাধনে প্রবৃত্ত হইলেন, ক্রমশঃ ঐ সিদ্ধ মন্ত্র পাঠ করিতে করিতে আহল্লমদে উন্মত্ত হইয়। তথা হইতে প্রস্থান করিলেন, ” এবং আসনে বসিয়া ঐ মন্ত্র সাপনা করিবেন মনে স্থির করিয়া নিবিড় বন মধ্যে ভ্রমণ করিতেছেন, দৈবযোগে, এক রাজস্বলা চণ্ডালিনী ঐ বনমধ্যে উদ্বন্ধনে প্রাণত্যাগ করিয়াছিল, তাহাতে তাহার মৃত দেহ বিনষ্ট ন হইয়া বিকৃত ভাবে সেই বনমধ্যে পড়িয়া রহিয়াছে, কালিদাসের পুর্দ পুণ্য প্রভাবে অদৃষ্ট সুপ্রসন্ন হইয়। ঐ ঘোর অন্ধকারে দেখিতে না পাইয়া তিনি সেই চণ্ডালিনীর শবদেহের উপর আসন করিয়া বসি লেন, আর বুঝিতে পারিলেন না যে তিনি এ কট। মৃত মনুষ্য দেহের উপরে আশন করিয়াছেন, আবার তা হার সৌভাগ্যক্রমে সেই সময়ে সেই আমার জনীর মহা নিশ। উপস্থিত । তিনি মহা নিশা সময়ে শবাসনে আসন করিয়া একান্ত আস্ত রিক দৃঢ়তা সহকারে নীল সরস্বতীর উক্ত মহা মন্ত্র জপ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । তবে উপসকগণ মন্ত্র সিদ্ধি প্রয়াসে জপে প্রবৃত্ত হইলে, যে সকল বিভীষিক। উপস্থিত হইয়া থাকে এবং যাহাতে ভীত হইয়। জপ পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক পলায়ন করিয়া থাকেন, সেই সমস্ত বিভীষিকাই ক্রমে ক্রমে উপস্থিত হইতে লাগিল, কিন্তু কালিদাস তা হাতে কিছুমাত্র । ভয়যুক্ত বা বিচলিত চিত্ত না হইয়৷ পূৰ্ব্ববং উক্ত মহামন্ত্ৰ জপ করিতে লাগিলেন, আর চিত্তের একাগ্রতা ও আন্তরিক ভক্তির প্রভাবে উত্তর সাধনের সাহায্য ব্যতিরেকে ও মন্ত্র সাধন করিয়া কার্ষ্যে পরিণত হইলেন ? - পরে ঐ অমানিশ। প্রভাতী হইলে যখন পূৰ্ব্বদিক, অরুণ । কিরণে উদ্ভাষি ত হইয়। উঠিল, তখন ভগবতী নীল সরস্বতী