পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস উপন্যাস । ১৩৯ য়াছে অতএব ভুমি সামান্য বনিতায় আসক্ত থাকিয়া জীবন শেষ করিবে ? : কালিদাস এই নিদারুণ কথা শুনিয়া মৰ্ম্মাহত হইয়া ক্ষণকাল নিস্তব্ধভাবে দেবীর পদদ্বয়ের প্রতি অধোবদনে স্থির চক্ষে । চাহিয়া রছিলেন। দেবী “বরপুত্ৰ কালীদাসকে বিষন্ন দেখিয়া স্বয়ং অঞ্জলি করিয়া সারস্বত কুণ্ডের জল আনয়ন করিলেন, বৎস, দুঃখিত হইও না, পুটক প্রস্তুত করিয়া এই জল পান কর আর সন্তুষ্ট চিত্তে গৃহে প্রতিগমন কর । , মাত কখনও পুত্রের অপরাধ গ্রহণ করেন না । কালিদাস বৃক্ষ বন্ধলের একটি পুটক প্রস্তুত করিয়া ভগবতীর প্রদত্ত জল লইয়। স্বয়ং কিঞ্চিৎ পান করিয়া অবশিষ্ট জল অভিমানিনী পত্নীর নিমিত্ত রাখিলেন । কালিদাস জল গ্রহণ করিলে দেবী ভগবতী নীল সরস্বতী কালিদাসের মস্তকে করাপণ করিয়া আশীৰ্ব্বাদ পূৰ্ব্বক অন্তহিত হইলেন । কালিদাসও দেবীকে যথাযোগ্য রকমে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত করিয়া হৃষ্টচিত্তে সারস্বত কুণ্ডের জল লইয়া নিবিড় কানন পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক, দেশাভিমুখে গমন করিলেন । কালিদাসের গৃহে প্রত্যাগমন । তখন কালিদাস, অভিমানিনী সত্যবতী পত্নীর সহিত সাক্ষাৎ মানসে দেবী ভগবতী নীল সরস্বতীর নিকট হইতে বিদায় প্রাপ্ত হইয়া, ক্রমশঃ দেশাভিমুখে গমন করিতেছেন, আর মনে মনে ভাবিতেছেন যে আমি আর দা, কুঠার প্রভূতির কালিদাস নহি, এখন রাজসভায় উপস্থিত হইয়। বিচার করিবার জন্য রাজাকে বলিব । আরও মনে করিতেছেন যে রাজবালা সত্যবতী, তো, আমাকে অপমান করে নাই, বরং উপকার’করিয়াছে,