পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8२ কালিদাস উপন্যাস। । হইয়াছেন, কেহ বলে না একটা সন্ন্যাসী আকাশৰ নিকট বসিয়া আছে, আবার কেহ বলে যদি नबानी হইবে, তবে অঙ্গরীয় পাইল কোথায়, অনেক দিন গত হয়েছে বলে যাই বল, কিন্তু ও সন্ন্যাসী নহে, ও সত্যবতীর ভৰ্ত্তাইবটে, তাহ না হলে রাজার নিকট কেউ বলতে পারে, যে, আমি তোমার জামাই এত দিন তো কেউ বলেনি ভাই। তবে লোকটা ভদ্রবলে জামাই সাজ লেজে না এসে যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থাতেই অর্থাৎ দাড়ি নক চুল ফেলে আসিনি আর বনের মধ্যে যখন সিদ্ধ হতে গিয়েছিল, বলছে, তখন সেখানে কোথায় বা নাপিত, যে উহার দাড়ি ফেলিবার জন্য বসে আছে, এও কখন সম্ভব হয় । এদিকে কালিদাস, প্রাণপ্রিয়ে প্রাণপ্রিয়ে করে অস্থির হয়ে সারস্বত কুণ্ডের জল নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলে আছেন, কি করেন কিছুতেই অভিমানিনী পত্নীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে পারিতেছেন না, এবং দর্শনেরও কোন উপায় লক্ষ করিয়া পাইতেছেন না । এই রকমে সে দিবা কাটিয়া গেল, কিন্তু বিভা ৰরী আর কাটে না, তবে কালিদাসের গাহন শক্তি ছিল এবং বিবাহের রাত্রিতে অনেক গান গাইবেন বলে মনে মনে ঠিক করিয়া রেখেছিলেন কেবল ব্রাহ্মণের অদৃষ্টবশতঃ মেগের লাতি খেয়ে এত দুর্দশাগ্রস্থ হয়ে ছিলেন, কেননা বামনের কপাল পাথর চাপা । সে জন্য দেবী ভগবতীর নিকট স্তব করিতেছেন আর মধ্যে মধ্যে শ্যামাবিষয়ক গান গাইতেছেন, তাহাতে অন্যান্য লোক সকল যাহারা তাহার নিকট আশ্চৰ্য্য সন্দর্শনে যাইতেছেন তাহাদিগের আশীৰ্ব্বাদ করিতেছেন এবং বিবিধ প্রকার শ্লোক আরক্তি করিয়া তাহাদিগকে সন্তুষ্ট করিতেছেন বটে, কিন্তু মধ্যে মধ্যে হা সত্য, যে সর্ত্য, করিয় ভূপৃষ্ঠে পতিত হচ্ছেন, আবার কখন বা তাড়াতাড়ি উঠে বস চেন, হল, কখন বা ঘরের বাহিরে