পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিস্ময়াপন্ন হইয় অন্তোন্ত-মুখাবলোকন করিতে লাগিলেন । সুবুদ্ধি চতুর শিরোমণি মহাকবি কালিদাস ঈষৎ হাস্য আস্তে কহিতে লাগিলেন, মহারাজ ! কি আর ভাবন করেন, আপনি অতি সংপুত্ৰ কুল প্রদীপ পিতার ঋণজল হইতে ত্বরায় মুক্ত হউন, শাস্ত্রে কথিত আছে, পুত্র হইয়। যে নরাধম পিতৃঋণ পরিশোধ ন করে, তাতে তাহাকে অন্তে অনন্তকাল পর্যন্ত নিরয়বাদ করিতে হয় ; এবং যদি আমার বাক্য মিথ্যা হয়, তবে এই কবিতা যে আমার স্বরচিত নূতন, ইহা অবশ্য অঙ্গীকার করিয়া আমাকে লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা পারিতোষিক দিতে আজ্ঞা হউক ।

োঞ্চর জ উভয় সঙ্কটে পতিত হইয়। ক্ষণকাল মৌনাবলম্বনপূৰ্দ্দক চিন্তা করিয়া উত্তর করিলেন, যে আপনি অদ্য স্বস্থানে গমন করুন, কল্য অগিবেন, যাহা বিবেচনা সিদ্ধ হয়, তা হাই হইবে । এই শুনিয়া সুবুদ্ধিবান কালিদাস বিদায় লইয়। স্বীয় বাসস্থানে গেলেন ।

অনন্তর মহীপাল ও সভাসদ শ্রুতিধর পণ্ডিত দিগের সহিত পরামর্শ করিতে লাগিলেন, যে, এক্ষণে ইহার কি উপায় কর কৰ্ত্তব্য বুঝি এত দিনে আমাদের চাতুরী জাল এককালে ছিন্ন ভিন্ন হইল । কালিদাসের বুদ্ধি কৌশল সামান্ত নহে। সভাস্থ স স্ত পণ্ডিত কহিলেন, মহারাজ ! সত্য বটে, অামারা কালি সর বুদ্ধিকৌশলে চমৎকৃত হইয়াছি ; যাহা হউক, ইহাকে অগণ্য ধন্যবাদ দেওয়া কৰ্ত্তব্য। এরূপ চমৎকার কৌশল প্রকাশ করিতে কেহই সমর্থ হন নাই । তদনন্তর এক জন প্রাচীন পণ্ডিত কহিতে লাগিলেন, রাজন ! এবিষয়ে এক উপায় আছে, তাহাই করুন। আমার স্মরণ হইল আপনার স্বৰ্গীয় জনক মহামার স্বহস্ত-লিখিত এরূপ এক লিপি আছে যে, “আমি আষাঢ়াস্ত দিবসের মধ্যাহ্নকালে আমার নদী