পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখন কিছু দিন পরে ভোজরাজের পুল স্বগ স্বীকার নিমিত্ত । বনগমন করিয়াছিলেন । কিন্তু দৈব দুবিপাক বশতঃ লোক জন । ও সৈন্য সামন্ত সকল নানা স্থানে পলায়ন করিয়াছিল কিন্তু ক্ৰমে । দিব। প্রায় অবসান হইতে চলিল রাত্রি সমাগত তখন রাজপুত্ৰ কি করেন নানাবিধ চিন্তা করিয়৷ কোন রকম স্থির করিতে ,মা পারায় কোন এক ব্লক্ষে আরোহণ করিলেন এখন ঐ সময় এক । ভল্লক ব্যাস্ত্ৰ ভয়ে ভীত হইয়। ঐ রক্ষে আরোহণ করিল। তখন রাজপুত্র উহাকে দেখিয়া বিবেচনা করিলেন যে এই ভল্ল ক আমার প্রাণসংহারক হইল । তখন উপায়ান্তর না দেখিয়। বিনীতভাবে ঐ ভগ্নকের সহিত মিত্রতা করিবার বাঞ্ছা করায় ভল্ল ও তাহাতে স্বীকার করিল, কিন্তু ভল্লুক এই স্থির করিল যে মনুষকে বিশ্বাস করা কর্তব্য নহে । আরও একটি নিয়ম অব- । ধারণ করিবার জন্য রাজপুত্রকে কহিল, যে, প্রথম প্রহর হইতে চতুর্থ প্রহর পর্যন্ত আমরা উভয়ে জাগরিত ও নিদ্রিত হইব এই প্রকার স্থির হইলে ভল্পক মনে মনে বিবিধ প্রকার চিন্তা করিয়া আপনার নখ ঐ ব্লক্ষে বিদ্ধ করিয়া নিদ্র। যাইতে লাগিল । তন্মধ্যে ব্যাঘ্র প্রচরে প্রহরে ঐ বৃক্ষের তলে অ’ । উহাদের উভয়কে কহিতে লাগিল তুমি নিদ্রিত পশু , জিপুত্রকে রক্ষ হইতে নিক্ষেপ কর, এই রকম কথা বার বার , শ্রবণে রাজপুত্র ভল,ককে ধাক্কা দিতে ভল্ল ক কোনক্রমে রক্ষ হইতে পড়িল ন। বরং রাজ পুত্রের মিত্র তা ব্যবহারে বিশেষ অসন্তুষ্ট হইয়। রাজপুত্রকে প্রাণে বিনাশ না করিয়া রাজপুত্রের দুই গালে চারিটি চপেটাঘাত দিল । এ দিকে ক্রমে বিভাবরী প্রভাত। হইলে রাজ পুত্ৰ বৃক্ষ হইতে নামিয়। যথেচ্ছাক্রমে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । এবং কিছুকাল বন ভ্রমণ পূর্বক পরে রাজভবনে পৌছিলেন ।