কালিদাস উপন্যাস । 3፭) নিয়মের নাম সামাজিক নিয়ম । বিবেচনা করিয়া দেখিলে স্পষ্টই দেখা যাইবে যে স্বার্থপরতাই পরার্থ পরতা ও পরার্থ পরতাই স্বার্থ পরতা । বিশ্বসংসারে যে সকল আবশ্যক কার্য। ঈশ্বর বা নীতি ভয়ে সম্পন্ন হয় তৎসমুদায়ই স্বাৰ্থ বা পরর্থ পরতা দ্বারা সম্পন্ন হইয়া থাকে ; কিন্তু সকলের বুদ্ধি ও চিত্ত্বরক্তি এক রূপ নহে । কাজে কাজেই সকলে সামাজিক নিয়ম ও স্বার্থ তত্ত্ব ভাল বুঝিতে বা বিবেচনা করিয়া চলিতে নিয়ম মতে সামাজিক নিয়ম নিদ্ধারিত হইয়া থাকে ? ফল কথা কৰ্ত্তব্য বলিয়া যদি কিছু কাৰ্য্য থাকে তবে তাহা শক্তি সামঞ্জস্য ভিন্ন আর কিছুই নহে । এই উপায় ও অবলম্বনে কর্তব্য কাৰ্য্য সকলের বিস্তারিত বিবরণ করিবার পূৰ্ব্বে শিক্ষা, শাসন, সভ্যতা, উন্নতি, প্রভৃতি বিবেচনা করা নিতান্ত আবশ্যক বলিয়া জানিদ্ধে । Фп,ш,щщщнщ,4, ным, রাজবাটীর কথা । কলি রাজ্যের প্রথম সময়ে উজ্জয়িনী নগরে ধ্বন্ধি নামক অতি প্রসিদ্ধ সৈন্য বলশালী মহা পরাক্রান্ত নরপতি ছিলেন । তিনি আপনার বীর দপে ভারতবর্ষের অধিকাংশ স্থানে নিজ প্রভুত্ব সংস্থাপন করেন, তাহার ভুঙ্গবলে অন্যান্য অধীন ভূপতি গণ স্বতই শঙ্কিত থাকিতেন এবং যথ। নিয়মে রাজ্য শাসন ও প্রজা পালন করিতেন । আর তিনি প্রজারঞ্জন বিষয়ে কত দূর স্থির প্রতিজ্ঞ ছিলেন তাহা লেখনী দ্বার ব্যক্ত করা যায় না । এমন কি তাহার নিজ আত্মীয়গণ কোন রকম অন্যায়াচরণ " করিলে তাহাদিগেরও দণ্ড প্রদান পূৰ্ব্বক প্রজাবর্গের ভুষ্টি সাধনে দ্রুটি করিতেন না । এই রকমে মহারাজ বহুকাল রাজ কাৰ্য্য “A
