পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালিদাস উপন্যাস । 就いう ক্রমে রাজকন্যা বয়ঃপ্রাপ্ত হইতে থাকিলেন প্রায় ৫ পঞ্চম বৎসর বয়সের সময় বিশেষ ধুম ধামের সহিত রাজকন্যার হাতে খড়ি দেওয়া হইল রাজ দুহিতা বিদ্য। শিক্ষা বিষয়ে অল্প দিন মধ্যেই বিদ্যাবতী হইয়া উঠিলেন, পশ্চাৎ অস্ত্রবিদ্যা প্রভূতি অভ্যাস করাইবার জন্ঠ দেশ দেশান্তর হইতে স্বশিক্ষিত অস্ত্র বিদ্যা বিশারদ পণ্ডিতগণকে আনীত করিয়া, মহারাজ অস্ত্রবিদ্যা প্রভৃতি বিদ্যা সকল অভ্যাস করাইতে লাগিলে ন সুদক্ষ রাজপুত্ৰী আতি অল্প সময় মধ্যেই সুশিক্ষিত হইয়া উঠিলেন । তদনন্তর রাজকন্ত যখন চতুর্দশ বৎসরে পদাপণ করিলেন, তখন মহারাজ একদিন মন্ত্রী এবং অমাত্যবর্গকে ডাকিয়া কহিলেন যে রাজদুহিতা সত্যবতী যেীবন রাজ্যে অভিশিক্ত হইবার যোগ্য হইয়াছেন অতএব আমার সম্পূর্ণ অভিলাষ যে রাজকন্যাকে যৌবন রাজ্যে অভিষিক্ত পূৰ্ব্বক রাজকুমারদিগের প্রতি রাজ্যভার দিয়া, গুরু বহন রাজ্য ভার হইতে অবসর লাভ করি, মন্ত্রীগণ তাহাতে সম্পূর্ণ মত না দিয়া এই কথা বলিলেন রাজকুমারীর উখাহ ক্রিয়। সমাধা কর। তৎপরে কৰ্ত্তব্য বটে, তবে রাজকুমারীকে একবার জিজ্ঞাসা করা বিধেয়, কেন ন রাজকুমারী সুশিক্ষিত। বিদ্যাবতী ও গুণবতী বিশেষ: । এইহেতু ভূপাল মন্ত্রী বাক্য গ্রহণ করিয়া রাজকুমারী সত্যবতীকে আপনকার নিকটে আনয়ন করিলেন “রাজকুমারী অগ্ৰে জানিতে পারেন নাই যে পিতা কি জন্য ডাকাইয়াছেন, সে কারণ তিনি বিনীত ভাবে পিতুসম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়া রহিলেন, রাজা কহিলেন বংসে অামি তোমাকে কিজান্য ডাকাইয়াছি তাহ বোধ করি তুমি জ্ঞাত হও নাই, কিন্তু আমি তোমার পরিণয় কাৰ্য্য অবিলম্বে সম্পূর্ণ করিবার মানসে তোমা কে আনয়ন