虚然 কালিদাস উপন্যাস I করিয়াছি এক্ষণে তোমার মন্তব্য কি তাহা প্রকাশ করিয়া বল । . রাজকুমারী পিতৃমুখে এরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া সহসা কি উ ওর দিবেন স্থির করিতে ন পারিয়া , ক্ষণকাল স্থির ভাবে দণ্ডায়মান রছিলেন, তৎপরে কিছু বিলম্বে উত্তর করিলেন, মঙ্গর জ আপনকার বাক্যের উত্তর দানে সহসা পরাসুখ হইয়াছি বলিয়া যে দোষ জন্মিয়াছে তা হা অামাকে ক্ষমা করিলেন । আপনি যে আমাকে এ রূপ সামান্য বয়সে পরিণয়ের বিষয় জি জ্ঞাস করিলেন, ইহা কিছুতেই স্থির করিতে পারি নাই, যাচ। ইউক যদি এপিষয় অভিলাষ করিয়া থাকেন তবে কিছু fদম আমাকে সময় দান করুন, অামি ইহার প্রকত বিষয় নিশ্চয় না করি লে কখনই উত্তর দানে বাধ্য হইতে পারিব না । ইহার তাৎপর্য সে আমি অনেকানেক গ্রন্থ পাঠ করিয়াছি । এবং তা হাতে দেখিয়া ছি সে বাল্যবিবাহ নিতান্ত পক্ষে অবৈধ, কারণ শরীর তত্ত্বের ইঙ্গ একটি নিৰ্দ্ধারিতরূপে সত্য, যে অঙ্গ বা রক্তি বিশেষের পরিপুষ্টি ও অন্যান্য অঙ্গ ও রক্তিসমূহের পরিপুষ্টির উপর নিভ র করে, একটি বালকের ও একটি পূৰ্ণবয়স্ক পুরুষের মস্তিকে বিস্তর প্রভেদ । আরও দেখিয়াছি যে, বাল্যবিবাহ জননশক্তিকে তাত অপরিপক বয়সে বিকসিত ও পরিচ’ লত করিয়া শারীরিক উন্নতির পক্ষে বিশেষ বিঘ্ন উৎপাদন করে । বল্যে জনন শক্তির বিকাশে শরীরের অপরাপর অংশ যে পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, এবং মস্তিক তদপেক্ষ। বহুতর গুণে অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয় । তাহার কারণ জনন শক্তির আধার স্বরূপ বীজ ও মস্তিষ্ক এক স্মায়ু পদার্থ, একের রদ্ধিতে অপরের হাস, অবশ্যম্ভারী । এখন বা ল্যেই যদি এই জনন শক্তির বৃদ্ধি হইল তা স্থা হইলে বালক বালিকার অপরিপক্ক দুৰ্ব্বল মস্তিষ্ক অধিক
