পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৎস্যের গুণ ও পরীক্ষা । b-S) ব্যক্তির বমি ও উদরাময় হইয়াছিল। মাংসে কখনও বা অ্যাসেৰ্পনিক থাকে । ছাগের কৃমি, যক্ষ্মা প্রভৃতি রোগের কোন উল্লেখ পাওয়া যায় না । ডাক্তার বেনেট বলেন মটন বা মেষ মাংস সর্বোৎকৃষ্ট । ডাক্তার স্মিথ বলেন মেষ মাংস অপেক্ষা ছাগ মাংস অধিক পুষ্টিকর। পক্ষীর মধ্যে হংস কপোত ও কুকুট সর্বোৎকৃষ্ট । (১৮) কাকড়া ও চিংড়ী-ইহাদের মাংস পুষ্টিকর। কিন্তু দুষ্পাচ্য। চিংড়ীর খোলা কিছুতেই জীর্ণ হয় না। চিংড়ী ভোজন বশতঃ কখনও কখনও আর্টিকেরিয়া (turticaria) হয় । কচ্ছপের মাংস স্থলচর পশুর মাংস অপেক্ষা সুপাচ্য । (১৯) মৎস্য মাংস অপেক্ষা সহজে পরিপাক হয়, অথচ তত উত্তেজাক নহে। ইহাতে যথেষ্ট পরিমাণে ফসফরাস আছে বলিয়া পার্কস্ চিন্তাশীল ব্যক্তিদিগকে মৎস্য ব্যবস্থা করেন। শোল, বাটা প্রভৃতি যে সমুদয় মৎস্যের অভ্যন্তর শ্বেতবর্ণ তাহাদিগকে শ্বেত মৎস্য, এবং রোহিত কাতলা প্রভৃতি যে সমুদয় মৎস্যের অভ্যন্তর লোহিত বৰ্ণ ভাহাদিগকে লোহিত মৎস্য বলা যায়। শ্বেত মৎস্য অপেক্ষাকৃত লঘুপাক ; ইহাতে নাইট্রোজেন অধিক । লোহিত মৎস্য অপেক্ষাকৃত গুরুপাক, ইহাতে তৈল অধিক । মুরলা, বাটা, কৈ, মাগুর, সিঙ্গি, পাকাল ইত্যাদি রোগীর পথ্য । টাটকা মৎস্য-শক্তি ও উজ্জ্বল চক্ষুবিশিষ্ট, যে দিকে ইচ্ছা সেই দিকে পুচ্ছ বক্র করা যায় না, টিপিলে ইহাতে অঙ্গুলীর দাগ বসে না, এবং ইহাতে কোন প্রকার পচা গন্ধ থাকে না । কোন কোন মৎস্য আহারে বমি ও উদরাময় হইয়া থাকে। পচা মৎস্যে টোমেন বিষ উৎপন্ন হয়। কেহ কেহ অনুমান করেন অৰ্দ্ধ সিদ্ধ মৎস্য ভোজন বশতঃ ডিষ্টেমা নামক কৃমি জন্মায়। মৎস্তাহারে চৰ্ম্মরোগ হয় এই বিশ্বাস অমূলক । (২০) ষ্টাচার্স বা শ্বেতসার—আরারুট, টোপিওকা ও সাগু। এই শ্রেণীর খাদ্য। আরারুটে সাধারণতঃ আলুর পালো মিশ্রিত হয়। (২১) সুগার বা শর্করা-চিনি অধিক পরিমাণে আহার করিলে স্থূলতা SR মৎস্যাহারীর রোগ ।