পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হত্যা-রহস্য তিনখানা ভাড়াটিয়া গাড়ী দাড়াইয়াছিল। নগেন্দ্ৰনাথ দুর হইতে দেখিলেন, লোকটি একখানা গাড়ীর নিকটে গিয়া দাড়াইল। কোচম্যানের সহিত কি কথা কহিল, তৎপরে তাহার হাতে কি দিল। কোচম্যান কোচুবাক্স হইতে নামিয়া ঘোড়ার লাগাম লগাইতে লাগিল। ইতিমধ্যে সেই লোকটি গাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করিল। ক্ষণপারে কোচুম্যান নিজের কােজ সারিয়া গাড়ীতে উঠিয়া ঘোড়ার পিঠে চাবুক লাগাইল। গাড়ী ছুটিল। তখনই ছুটিয়া গিয়া নগেন্দ্রনাথ আর একখানা গাড়ীতে উঠিয়া বসিলেন। কোচম্যানকে বলিলেন, “আগের গাড়ীর পিছনে চল—খুব বখশিস পাইবি, যেন নজরের বাহিরে না। बांग्र ।” কোচুম্যান বিরক্তভাবে বলিল, “ও সব বুঝি না-ভাড়া আগে।” নগেন্দ্ৰনাথ গভীরভাবে বলিলেন, “পুলিসের কাজ-শীঘ্ৰ চলা-বখশিস পাইবি ।” পুলিসের নাম শুনিয়া কোচুম্যান দ্বিরুক্তি না করিয়া দ্রুতবেগে গাড়ী ছুটাইল । সম্মুখস্থ গাড়ী কিছুতেই নজরের বাহিরে যাইতে দিবেন না ভাবিয়া নগেন্দ্ৰনাথ গাড়ীর ভিতর হইতে এক-একবার মুখ বাহির করিয়া দেখিতে লাগিলেন । এই লোকটা কেনই বা রাণীর গলির কথা তঁহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া সেই গলিতে না গিয়া গাড়ীতে উঠিল, তিনি তাহার কোনই কারণ স্থির করিতে পারিলেন না । সহসা তঁাকার মনে হইল, “এই লোকটা আমাকে সন্দেহ করিয়াছে, পাছে আমি উহার অনুসরণ করি, এই ভয়ে এ আমার নজর ছাড়া হইবার জন্য গাড়ীতে উঠিয়াছে ; নিশ্চয় আবার গাড়ী রাণীর গলির সম্মুখে আসিবে। সে নিশ্চয়ই ভাবিয়াছে যে, আমি এরূপভাবে তাহার অনুসরণ করিব না ।”