পাতা:হরফ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাতটা আমি জেগেই কাটিয়ে দিলাম। কত কথাই যে ভাবতে লাগলাম তার ঠিকানা নেই। ওর এই অবস্থার জন্য কে যে দায়ী বুঝতে আমার আর বাকী রইল না। সকালে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে প্ৰথম খেয়াল হল, এতদিন ওর ওপোর, কি অত্যাচারটাই করেছি। বেঁধে মারার একটা কথা আছে না ? এতদিন তেমনি ভাবে মেরেছি। ওকে। মনের জোর ওর কম নয়, আমি যদি তফাতে থাকতাম বা অসুখ হয়ে পড়ে থাকতাম তা’হলে কোন কথা ছিল না, কিন্তু প্ৰথম যৌবনের লাবণ্যে ঢল ঢল। শরীর নিয়ে সর্বদা চােখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছি, কতরকম ভালবাসার খেলা খেলছি, পাশাপাশি শুয়ে রাত কাটাচ্ছি, সবসময় ওকে উত্তেজিত করে তুলছি, অথচ ধরা দেওয়ার বেলায় আমার আসছে পাগলামি! ভাবতে ভাবতে এ কথাটাও বুঝতে পারলাম, তিনি ষাকে নিজের পশুবৃত্তি ভেবে নিজেকে অশ্ৰদ্ধা করছেন, সেটা এরকম অবস্থায় এমন প্ৰচণ্ড না হয়ে উঠলেই বরং ওকে অসুস্থ মনে করা চলত। একজন সুস্থ সবল যোয়ান মানুষ, সে-যে একটি মেয়েকে ভালবেসে তাকে বিয়ে করে এনে যোগী ঋষির মত ঠাণ্ডা হয়ে থাকবে, উত্তেজনা বোধ করবে না, পাগল ছাড়া এমন কথা কে ভাববে? আর দিনের পর দিন সেই উত্তেজনা অতৃপ্ত থাকার ফলে মানুষটা যদি বিগড়ে যায়, তাতেই বা আশ্চর্যের কি আছে! : আমি বুঝতে পারলাম, নিজের যা ক্ষতি আমি করেছি, নিজেকেই আমায় তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে। ওঁর ঘুম ভাঙ্গতে অনেক । বেলা হল। লজ্জায় চােখ তুলে আমার দিকে তাকাতে পারলেন না, যেন অপরাধটা সমস্ত ওর, আমার কোন দোষ নেই। SLBBDDYK kLL DBBBSDDD BD DBDDBDDD DDD DEE BBBBBDS ጓዝ የ আমি সহজভাবে বললাম, না, দামী দামী কথা বলেছি, দরকারী কথা বলেছি, অনেক আগেই তোমার ওসব কথা আমায় বলা উচিত ছিল। y Do