পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'S or হলুদ পোড়া সাদা হাড়ের উপরে খানিকটা টান করা সাদা চামড়া ছাড়া আর কিছুই নয়। সি দুরের টিপ পরিয়া মৃন্ময়ী আয়নায় মুখ দেখিল। মনে হইল কপালটা তাহার এমনি সাদা যে লাল সি দুরের চেয়ে কালো কাজলের - ফোটা হইলেই যেন মানাইত ভাল । স্কুল হইতে ফিরিয়া বাড়ীতে পা দেওয়া মাত্ৰ পাচু টের পাইল বাড়ীর আবহাওয়া ভয়ঙ্কর ভাবে বদলাইয়া গিয়াছে। বারান্দায় ষ্টেভ জ্বলে নাই, বৈকালিক জলযোগের কোন আয়ােজন দেখা যায় না। একটা চাপ চাঞ্চল্য যেন চারিদিকে জমাট বাধিয়া আছে, প্ৰাইজ বিতরণের দিনে স্কুলে ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব আসিবার আগে যেমন হয়, তেমনি। পশ্চিমের ছোট অন্ধকার ঘরখানা ইতিপূর্বে একদিন পরিষ্কার করা হইয়াছিল, এই অবেলায় দিদিমা আবার সে ঘরের মেঝে পুছিতেছেন, দিদিমার মুখের ভাব অন্ধকার ঘরখানার মতই সন্দেহ-জনক। বড়মাসীর মুখের রূক্ষতা যেন বাড়িয়াছে, ছোটমাসী বসিয়া আছে মামীর শিয়রে। কি শিথিল অবসয়ী মামীমার পা গুটািইয়া শুইবার ভঙ্গি ! কাহাকেও প্রশ্ন করিবার প্রয়ােজন হইল না। পাচু মুহুৰ্ত্তমধ্যে সব বুঝিতে পারিল। বইখাতা স্থাতে বিস্ফারিত চোখে সে সুলতার দিকে চাহিয়া রহিল । উত্তেজনায় তাহার ছোট বুকখানির মধ্যে ঢিপ ঢিপ করিতেছিল । ঘরে সে ঢুকিতে পারিল না। চৌকাঠ চিঙ্গাইবার ক্ষমতা সে আজ হারাইয়া ফেলিক্ষ্মীছে। সুধা বলিল ‘কিরে। পাচু ?” পাচু সলজ হাসিয়া সরিয়া গেল। বারান্দার মাঝখানে দাড়াইয়া সে “ভাবিয়া পাইল না কোন দিকে যাইবে, এ বাড়ীর কোন ঘরে আজ তাহার कि @वाहमाचन । মার জন্য পাঁচুর আজ সহসা বড় কষ্ট হইতে লাগিল, তাহার দুই চোখ ।