পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলুদ পোড়া XS (ł বাজিবেই আজ! সাতাশ বৎসর ধরিয়া তাহার জীবনে সংখ্যাহীন রাত্রি পোহাইয়াছে আজিকার রাত্ৰিও পোহাইবে বৈকি ! • , আগামী কল্যের যে সুৰ্য্যালোকে সে সস্তানের মুখ দেখিবে, সে সুৰ্য্যকে মাটির পৃথিবী কয়েক ঘণ্টার জন্য আড়াল করিয়া । ब्रांथिबां८छ भांडणी । জোরে জোরে হুকায় কয়েকটা টান দিয়া বিকাশ জামাটা তুলিয়া র্নিয়া দোতলায় গেল। নিজের ঘরে পা দিয়াই তাহার চমক্স-লাগিল। এখানেও কে যেন অস্ফুটম্বরে কঁাদিতেছে। ঘরের মেঝেতে আলোটা কমানো ছিল, বাড়াইয়া দিয়া ঠাহর করিয়া বিকাশত দেখিতে পাইল, একটা বালিশ আঁকড়াইয়া বিছানায় উপুড় হইয়া পড়িয়া পাচু থর থর করিয়া কঁাপিতেছে এবং মাঝে মাঝে অস্ফুট শব্দ করিয়া কঁাদিতেছে। তাহার পিঠে হাত দিয়া বিকাশ বলিল, “তোর আবার কি হল রে পাচু ?” পাচু তৎক্ষণাৎ মামাকে সবলে Wজড়াহুয়া ধারা বিহবল দৃষ্টিতে BDD DBDD DBDBDBS SDD BBD D S ‘কেন, ভয় করছে কেন ? যা ভয়ের কিছু নেই।” পাচু হাঁপাইতে হাঁপাইতে বলে ‘একটা শাকচুন্নী ছাদে বেড়িয়ে বেড়িয়ে চুল বাধছিল একটা ভূত এসে তাকে জড়িয়ে ধরল।” ছেলেটা ঘামে ভিজিয়া গিয়াছিল, ভয় সে সত্যই পাইয়াছে, কিন্তু কারণটা বিকাশ বুঝিয়া উঠিতে পারল না। খোলা জানাল দিয়া ছাদের খানিকটা দেখা যায়, অল্প অল্প জ্যোস্নায় মন্দ আলো হয় নাই। ওই ছাদে কিসের • উপলক্ষে আজ শাকচুমীর আবির্ভাব হইল, তাহার স্কুল বাঁধা দেখিতে ভূতই বা আসিল কোথা হইতে ? কিন্তু যে কারণেই ভয় পাইয়া থাক পাচুর ভয় ভাঙ্গানো দরকার।