পাতা:হলুদ পোড়া - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলুদ পোড়া বিপন্নতার অনুভূতি। এক একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ থাকে, তামাসা করিয়া একটা ছোট ঘরে কয়েক মিনিটের জন্য বন্দী করিয়া’ রাখিলেও যাদের দম আটকাইয়া আসে, ডয়ে আধমরা হইয়া যায় । ওমিলনাইনের গন্ধের আবেষ্টনী তেমনি পীড়ন করিতে লাগিল প্ৰমথকে । -সে জোরে জোরে শ্বাস গ্ৰহণ করিতে লাগিল । প্ৰথমটা হাসিরাশি পরিহাস করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, কি গো, কি “হেল তোমার ? তেলের গন্ধে নিজেই মূৰ্ছা যােচ্ছ নাকি সত্যি-সত্যি ? : -গন্ধটা সত্যি ভারি অদ্ভুত । তারপর ভয় পাইয়া সে কাচের পাত্রটা প্ৰমথের সন্মুখ হইতে -ঠেলিয়া দিয়া নিজেই সেখানে বসিয়া পড়িল, প্রমথকে নাড়া দিয়া ব্যগ্ৰকণ্ঠে বলিল, কি হোল ? কি হোল তোমার হঠাৎ ? এমন করছি কেন ? t প্রমথ কাতরভাবে বলিল, কিছু হয় নি। হাসিরাশি ব্যাকুল হইয়া বলিল, হয়নি ! তোমার মুখ দেখে বুকের মধ্যে কঁপিছে আমার r কি হয়েছে বল না ঐ প্রমথ একথার কোন জবাব দিল না। উঠিয়া জামা গায়ে দিল । হাসি জিজ্ঞাসা করিল, কোথা যােচ্ছ ? ভবানীপুর যাৰ। ভবানীপুর সে গেল বটে। কিন্তু গেল পার হইয়া। হাজির হইল বালীগঞ্জে, “সুনীতির গৃহে । বাড়ী হইতে বাহির হইয়া সে যে-ভাবে সোজা ওখানে গিয়া পৌছিল তাতে একথা মনে করা কঠিন হইয়া দাড়াইল ষে সুনীতিকে “দেখিবার জন্যই সে বাড়ীর বাহির হয় নাই। সুনীতি আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল, কি আশ্চৰ্য্য ! কি ভাগ্য আদায় । বোসে, বোসো। কবে এলে কলকাতায় ? তুমি এখন কুমিল্লায়। “