পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SY 8 शिन्तू आहेन উত্তরাধিকারী হস্তান্তরে সম্মতি দেন, এবং ইহা প্রমাণিত হয় যে, এই ব্যাপারে প্রবঞ্চন বা যোগসাজস আছে, তাহা হইলে হস্তান্তর কখনই সিদ্ধ হইবে না ( ১৯ মাদ্রাজ ৩৩৭ )। কিন্তু স্ত্রীলোকের নিকট হইতে কিছু টাকা লইয়া যদি ভাবী উত্তরাধিকারী হস্তান্তরে সম্মতি দেন, তজ্জন্য হস্তান্তর অসিদ্ধ হইয়া যাইবে না (৩০ এলাহাবাদ ১ প্রিভিকৌন্সিল ) ; কিন্তু সেই ভাবী উত্তরাধিকারী ভবিষ্যতে কখনও ঐ হস্তান্তরে কোন আপত্তি করিতে পরিবেন না (৩২ মাদ্রাজ ২১৬ )। ভাবী উত্তরাধিকারীর সম্মতি লইয়া সম্পত্তি শুধু বিক্রয় করিলে সিদ্ধ হইবে, বন্ধক দিলে সিদ্ধ হইবে না ; যদি বন্ধক দেওয়া হয় এবং বন্ধকগ্রহীতা বন্ধকমূলে নালিস করিয়া তাহার ডিক্ৰীতে সম্পত্তি বিক্রয় করান, তাহা হইলে নিলামখরিদদার শুধু ঐ স্ত্রীলোকের জীবিতকাল পৰ্য্যন্ত ঐ সম্পত্তিতে স্বত্ব পাইবেন, তাহার পর আর পাইবেন না ( হরিকিষেণ বঃ বজরঙ্গ, ১৩ কলিকাতা উইকলি নোটস ৫৪৪ ) । কিন্তু আর একটী মোকদমায় এইরূপ সিদ্ধাস্ত হইয়াছে যে ভাবী উত্তরাধিকারীর সম্মতি থাকিলে আদালত অনুমান করিবেন যে উক্ত স্ত্রীলোক আইনসঙ্গত আবশ্বকতার জন্যই সম্পত্তি বন্ধক দিয়াছেন, এবং ঐ বন্ধক সম্পূর্ণরূপে সিদ্ধ হইবে ; তবে অবশ্য যদি অপর পক্ষ প্রমাণ দ্বারা দেখান যে কোনও আবশ্যকতা ছিল না, তাহ iহইলে আর উহা স্ত্রীলোকের জীবিতকাল অপেক্ষা অধিক কালের জন্য সিদ্ধ হইবে না ( দেবীপ্রসাদ বঃ গোলাপ ভগত, ৪০ কলিকাতা ৭২১ ) । স্ত্রীলোক যে দলিল দ্বারা হস্তান্তর করেন সেই দলিল যদি ভাবী পুরুষ উত্তরাধিকারী এবং ঐ বিধবা উভয়ে একযোগে সম্পাদন করেন, তাহ। হইলে ঐ হস্তান্তরে ভাৰী উত্তরাধিকারীর সন্মতি আছে বলিয়া গণ্য হইবে । ভাবী উত্তরাধিকারী যদি ঐ দলিল শুধু সাক্ষীরূপে দস্তখত করেন, তাহ হইলে উহাতে র্তাহার সম্মতি আছে বলিয়া অনুমান