পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AS) е हिन्दू अहेिन লেপন করিলেন । এই অপবাদের জন্য কায়স্থগণ নিজেরাই দায়ী। তাহারা উপবীত গ্রহণ অনাবশ্বক বোধ করেন, শূদ্রের স্তায় ৩০ দিন অশৌচ পালন করেন, এবং দাস শব্দ ব্যবহার করিতে অনেকেই গৌরব অনুভব করেন । শূদ্রত্বের এই সকল চিহ্ন যতদিন তাহারা স্বেচ্ছায় ধারণ " করিবেন, ততদিন তাহাদের এই মানি ঘুচিবে না । বেহার ও পশ্চিম প্রদেশের কায়স্থগণ দাসশব্দ ব্যবহার করেন না, এবং উপবীত ত্যাগ করেন নাই, সেজন্য তথাকার কায়স্থগণ হাইকোর্টের বিচারে ক্ষত্রিয় বলিয়া পরিগণিত হইয়াছেন (ঈশ্বরীপ্রসাদ বঃ হরিপ্রসাদ, ৬ পাটনা ৫-৬ ; তুলসী বঃ বেহারী, ১২ এলাহাবাদ ৩২৮)। সগোত্রে বিবাহ করিলে তাহা অসিদ্ধ হইবে । কতকগুলি সম্পর্ক “নিষিদ্ধ সম্পর্ক” বলিয়া কথিত হইয়াছে ; ঐ সকল সম্পৰ্কীয়া কন্যাকে বিবাহ করা আইনে নিষিদ্ধ। যথা, পিতৃকুলের সাত পুরুষের, এবং মাতৃকুলের পাচ পুরুষের মধ্যে কাহারও বংশীয়া কন্যাকে বিবাহ করা শাস্ত্রে নিষেধ আছে। নারদ বলিয়াছেন—“আসপ্তমাৎ পঞ্চমাচ্চ বন্ধুভ্যং পিতৃমাতৃত । অবিবাহা সগোত্রা চ সমানপ্রবরা তথা ॥” মন্ত বলিয়াছেন—“অসপিও চ যা মাতুরসগোত্রা চ যা পিতুঃ । সা প্রশস্ত। দ্বিজাতীনাং দারকশ্বণি মৈথুনে।” কিন্তু এই নিষেধ থাকিলেও সকলে সকল সময়ে মানিয়া চলে না ; অতএব যদি উভয় পক্ষের আত্মীয় ও স্বজনগণের সম্মুখে এবং তাহাদের সম্মতিক্রমে পূৰ্ব্বোক্ত নিষিদ্ধ সম্পর্কের মধ্যেও বিবাহ হইয়া থাকে, তাহা হইলে উহ। সিদ্ধ বলিয়াই গণ্য হইবে । কিন্তু অতি নিকট সম্পৰ্কীয়গণের মধ্যে বিবাহ হওয়া উচিত নহে, কারণ তাহা অসিদ্ধ সাব্যস্ত হইবার সম্ভাবনা বেশী । o আরও, বিমাতার ভগিনী, বিমাতার ভ্রাতুষ্কন্যা, খুল্লতাতের স্ত্রীর ভগিনী, শুtলীকন্যা প্রভৃতিকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ আছে। কিন্তু এইরূপ বিবাহ করিলেও তাহা অসিদ্ধ নহে। o