পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এজমালী সম্পত্তি 89 স্বত্ব হইবে—র্তাহার পিতার বা ভ্রাতার হইবে না। কিন্তু পিতা বর্তমানে যদি পুত্র পৈতৃক বাটীতে কোনও বুদ্ধি বা উন্নতি সাধন করেন, তাহা হইলেও ঐ উন্নতিতে পিতারই স্বত্ব হইবে, পুত্রের কোনও স্বত্ব হইবে না, এবং পিতা ইচ্ছা করিলে পুত্রকে ঐ বাট হইতে তাড়াইয়া দিতে পারেন, তাহাতেও পুত্র পিতার নিকট হইতে কোন ক্ষতিপূরণ আদায় করিতে পারিবেন না (ধৰ্ম্মদাস বঃ অমূল্যধন, ৩৩ কালকাতা ১১১৯ ; বিজয় বঃ আশুতোষ, ১৩ কলিকাতা উইকলি নোটস ৩৯৬ )। পিতার মৃত্যুর পর পুত্ৰগণ পিতৃত্যক্ত সম্পত্তি এজমালীতে প্রাপ্ত হইয়া নিজ নিজ অংশ পৃথক করিয়া লইতে পারেন । র্তাহারা নিজ ংশ ইচ্ছামত হস্তান্তরও করিতে পারেন ; এবং বিভাগের পূৰ্ব্বে কোনও ভ্রাতার মৃত্যু হইলে তাহার অংশ তাহার ওয়ারিসে বৰ্ত্তিবে । যে স্থলে কয়েক ব্যক্তি মিলিয়া সম্পত্তি এজমালীতে ভোগ করেন, সে স্থলে প্রায় একব্যক্তি কৰ্ত্তা বা ম্যানেজারস্বরূপ সমস্ত সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ করিয়া থাকেন। সম্পত্তি সম্বন্ধে উক্ত কৰ্ত্তার ক্ষমতা খুব বেশী । তিনি যে কাৰ্য্য করিবেন, তাহ দ্বারা অন্য ব্যক্তিগণ বাধ্য থাকিবেন । তিনি ইচ্ছা করিলে সম্পত্তির সমস্ত আয়ই পারিবারিক প্রয়োজনের জন্য খরচ করিতে পারেন। তিনি সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য কোনও পারিশ্রমিক বা সম্পত্তির কিছু অতিরিক্ত অংশ পাইবেন না। তিনি যদি সম্পত্তি হইতে কিছু আত্মসাৎ করেন, কিংবা পারিবারিক প্রয়োজন ব্যতীত অন্য কোনও কার্য্যে কোন ব্যয় করেন, তাহা হইলে তজ্জন্য তিনি দায়ী হইবেন। এজমালী পরিবারের কন্যাগণের বিবাহ, বালকদের উপনয়নও বিষ্ঠাশিক্ষ, পরিবারবর্গের ভরণপোষণ, পৈতৃক ঋণ পরিশোধ, পূজা, ধৰ্ম্মকাৰ্য্য, বিগ্রহসেবা, শ্ৰাদ্ধ, প্রয়োজনীয় মামলা মোকদ্দমা চালান, রাজস্বদান—এই সকল কাৰ্য্যকে পারিবারিক প্রয়োজন বলা হয়, এবং এই কাৰ্য্যগুলির জন্য উক্ত কৰ্ত্ত এজমালী সম্পত্তির আয় হইতে অর্থব্যয়