পাতা:হিন্দু আইন -বিভূতিভূষণ মিত্র.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভাগ * &S মাতা, বিমাতা । ' ' t মন্ত্র প্রভৃতি শাস্ত্রকারগণ মাতার জীবদ্দশায় পুত্রগণকে সম্পত্তি বিভাগ করিতে নিষেধ করিয়াছেন । কিন্তু টীকাকারগণ বলিয়াছেন যে উহ সামান্য নিষেধ মাত্র, শাস্ত্রের আদেশবাক্য নহে। যাহা হউক, মূল শাস্ত্রকারগণ অপেক্ষণ টীকাকারগণের মতই অধিক প্রবল, সুতরাং মাতার জীবিতকালে পুত্ৰগণ সম্পত্তি বিভাগ করিলে তাহা অসিদ্ধ হয় না । পুত্ৰগণের মধ্যে বিভাগের সময় মাতা প্রত্যেক পুত্রের সমান এক অংশ পাইবেন (অমৃতলাল ব: মাণিকলাল, ২৭ কলিকাত ৫৫১ ) । মাতা ও চারি পুত্ৰ থাকিলে সম্পত্তি পাচ ভাগে বিভক্ত হইবে, এবং মাত এক পঞ্চমাংশ পাইবেন । কিন্তু এ স্থলে ইহা বিশেষরূপে স্মরণ রাখা উচিত যে, একাধিক পুত্র থাকিলেই তবে মাতা এক অংশ পাইয় থাকেন। যদি মাতা ও একটমাত্র পুত্র থাকে, তাহা হইলে মা ভা ও পুত্রে বিভাগ হইয়া প্রত্যেকে অৰ্দ্ধাংশ পাইবেন না ; পুত্রই সমস্ত সম্পত্তি পাইবে, এবং মাতা ঐ সম্পত্তি হইতে কেবলমাত্র ভরণপোষণ পাইবেন। একাধিক পুত্ৰ থাকিলে যতদিন পর্য্যস্ত বিভাগ না হয়, ততদিন মাতা কোনও অংশ পান না, কেবলমাত্র ভরণপোষণ পাইয়া থাকেন ; পুত্ৰগণের মধ্যে বিভাগ হইলেই মাতা এক অংশ প্রাপ্ত হন। আর পুত্ৰগণ যতদিন এজমালীতে থাকে, ততদিন মাতা সম্পত্তি বিভাগের দাবী করিতেও পারেন না ( চৌধুরী গণেশ বঃ জীবাচ ঠাকুরাণী, ৩১ কলিকাতা ২৬২ প্রিভি কৌন্সিল ) । মাত-যে সম্পত্তি প্রাপ্ত হন তাহাতে র্তাহার নিবুঢ়ি স্বত্ব জন্মায় না, বা উহ। তাহার স্ত্রীধন সম্পত্তি বলিয়া গণ্য হয় না ; তিনি ঐ সম্পত্তি ভরণপোষণবাবদ পাইয়া থাকেন, স্বতরাং উহাতে র্তাহার মাত্র জীবনস্বত্ব থাকে; এবং উহার মৃত্যুর পর ঐ সম্পত্তি তাহার পুত্ৰগণে বর্তিৰে।