পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সোঽহং।

যে, সৃষ্টির কোন উপাদান ছিল না, ইহা আমরা ভাবিয়া উঠিতে পারি না। কোন বস্তুর একবারে কিছু নাই, এরূপ কল্পনা মানব শক্তির অতীত, মনুষ্য মনের অসাধ্য। মনুষ্য ইহা বুঝিয়াই উঠিতে পারে না, ধারণা করিতে পারে না। তবে যাহার কিছুই ছিল না, তাহা হইয়া পড়িল, ইহা কেমন করিয়া মনে লাগে? যাহারা এই মতের পক্ষপাতী তাহারা বলিয়া থাকেন যে, জগদীশ্বরের শক্তি অসীম, তাঁহার অসাধ্য কিছুই নাই, মনুষ্য যাহা বুঝিয়া উঠিতে পারে না, তিনি তাহা অনায়াসে করিতে পারেন, অতএব মনুষ্য যাহার ধারণা করিতে পারে না, তাহাই যে অসম্ভব বা অসত্য এমন কোন কথা নাই। একথা ঠিক। কিন্তু জগদীশ্বরের সকলই সাধ্যায়ত্ত বলিয়া তিনি যে সকলই করেন, এমন কোন কথা নাই। মনে করিলে তিনি যে সবই করিতে পারেন, ইহাই তাঁহার প্রকৃত অসীমত্ব এবং অনন্তত্ব। কিন্তু অসীম এবং অনন্ত বলি তিনি যে সবই করিবেন এমন কোন আবশ্যকতা নাই। অতএব যে প্রণালীর সৃষ্টি মানুষ বুঝিয়া উঠিতে পারে না, সে প্রণালীতে জগদীশ্বর সৃষ্টি করেন নাই, এ কথা বলিলে জগদীশ্বরের অনন্তত্ব বা অসীম শক্তি অস্বীকার করা হয় না। এখন বিচার্য কথা এই যে, যে মতানুসারে সৃষ্টিক্রিয়া মানুষের দুর্বোধ্য সে মত অবলম্বন করিবার আবশ্যকতা আছে কি না। প্রত্যুত্তরে সচরাচর এইরূপ উক্ত হইয়া থাকে যে, সৃষ্ট জগৎ স্রষ্টা জগদীশ্বর হইতে এত অধম ও নিকৃষ্ট যে, জগৎ এবং জগদীশ্বরকে,এক পদার্থ জ্ঞান করিলে জগদীশ্বরকে নিতান্তই অবমাননা করা হয়, নিতান্তই অধম করা হয়। কিন্তু জগদীশ্বর .