পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 श्मूिर्ष ‘স্বার্থপর, নিষ্ঠুর, ছৰ্দান্ত, ধ্বংসপ্রিয়, উদ্ধত, উগ্র ও কোপন স্বভাব হইয়া থাকে, নিরামিষভোজী মনুষ্য তেমন হয় না। নিরামিষভোজী মনুষ্য প্রায়ই শান্ত-শিষ্ট ও সুশীল হইয়া থাকে । মাংসাশী মনুষ্য যত যুদ্ধ, কলহ ও জীবক্ষয় করিয়াছে, নিরামিষভোজী মনুষ্য তাহার এক-শতাংশও করে নাই। মাংসাশী মনুষ্যৈ দুর্গাপুৰ্ববৃত্তি প্ৰবল বলিয়া এইরূপ হইয়াছে। বঙ্কিম বাবু র্তাহার ধৰ্ম্মতত্ত্বে লিখিয়াছেন,-“আজি ফুক্ষস জৰ্ম্মানির কাড়িয়া খাইতেছে, কাল জৰ্ম্মানি ফ্ৰান্সের কাড়িয়া খাইতেছে ; আজি yé ific-1S (Fify it is WiG Rhenish Frontier, কাল পোেলণ্ড, পরশু বুলগেরিয়া, আজ মিশর, কাল টাস্কুইন। এই সকল লইয়া ইউরোপীয় সভ্য জাতিগণ কুকুরের মত হুড়াহুড়ি কামড়াকামড়ি করিয়া থাকেন।” কিন্তু আজ বলিয়া নয়, ইউরোপে চিরকালই এই হুড়াহুড়ি কামড়াকামড়ি চলিতেছে। প্রাচীন গ্ৰীকেরাও ইহা করিয়াছিলেন, প্রাচীন রোমকেরাও ইহা করিয়াছিলেন। পৃথিবীতে সভ্যতা বিস্তার করিবার জন্য এ সকল হুড়াহুড়ি কামড়াকামড়ি হইয়াছে ও হয় বলিয়া একটা কথা শুনিতে পাওয়া যায়। সেটা কথার কথা মাত্র। দুষ্মপ্রবৃত্তির প্রাবল্য বশতঃ এইরূপ হইয়াছে, হইতেছে এবং হইবে। * নিরামিষভোজী হিন্দুদিগের মধ্যে এরূপ হুড়াহুড়ি কামড়াকামড়ি কখন দেখা যায় নাই। তাঁহাদের মধ্যে যুদ্ধ বিগ্ৰহ হইয়াছে। কিন্তু এক ন্যায় যুদ্ধ ভিন্ন তাহদের মধ্যে অপর সকল যুদ্ধই নিন্দনীয়। এবং তাহারা কখনই আপনি সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করিাবার জন্য বা সমারপিপাসা মিটাইবার জন্য বালান্তকের ন্যায় মানবকুল ক্ষয় করিতে স্বদেশ হইতে বহির্গত হয় নাই। মাংসাশী