পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবাহ di দ্বারা সমাজবন্ধন সুদৃঢ় হয়। সেই সমস্ত ক্রিয়াকে ধৰ্ম্মের অঙ্গ করিয়া অবশ্য কৰ্ত্তব্য করিয়া দেওয়া হইয়াছে।।*।” আর জন্ম হইতে মৃত্যু পৰ্য্যন্ত সমস্ত জীবন : ব্ৰহ্মচর্য্যের যেরূপ আবশ্যকতু দেখা গিয়াছে তাহাতে বিবাহাদি যে সমস্ত ক্রিয়া দ্বারা সমাজবন্ধন সুদৃঢ় হয়। সেই সমস্ত ক্রিয়াকে ধৰ্ম্মের অঙ্গ করিয়া না দিলেও চলে না । বিবাহই नभांखाक्प्नब्रभूल গ্ৰন্থি। যেখানে বিবাহ নাই সেখানে সমাজও নাই। যেখানে বিবাহগ্ৰন্থি শিথিল সেখানে সমাজবন্ধনও শিথিল ৷ আজি কালি ইউরোপাঞ্চলে কেহ কেহ বিবাহ উঠাইয়া দিবার কথা কহিতেছেন। বিবাহ তথায় কখন উঠিৰে কি না বলিতে পারি না। কিন্তু যদি উঠে তাহা হইলে সমাজও যে তথায় অতি বিচিত্র আকার ধারণ করিবে এবং সেই সঙ্গে রাজনীতি ধৰ্ম্মনীতি” প্ৰভৃতিতেও যে অতি বিচিত্র পরিবর্তন ঘটবে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। কিন্তু সে জল্পনা এখন অনাবশ্যক, কারণ সে বৈচিত্ৰ্য ঘটিতে এখনও অনেক বিলম্ব। এখনও ইউরোপে বিবাহ সমাজবন্ধনের মূলগ্ৰন্থি, কিন্তু অনেক স্থলেই আইনমূলক চুক্তিমাত্র, ধৰ্ম্মানুষ্ঠান নয়। আমাদের বিৰাহ চুক্তি নয়, ধৰ্ম্মানুষ্ঠান। এই প্ৰভেদের কারণ এই যে আমাদের জীবনের যে প্রধান উদ্দেশ্য, অর্থাৎ ব্রহ্মে লয় বা মুক্তি, তাহা এত অধিক ও এত কঠিন সাধনাসাপেক্ষ যে জীবনের সমস্ত কাৰ্য্যকে সেই সাধনার অনুকুল বা সহকারী না করিলে চলে না এবং সেই জন্য আমাদের বিবাহও ধৰ্ম্মানুষ্ঠান। ইউরোপে এরূপ —

  • ՉԿ 3 ტზ ਭੌ|