পাতা:হিন্দুত্ব - চন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৈন্ত্ৰী Vos যে সকল লোক সমান ? আবার গুণাগুণ সম্বন্ধেও সকল লোক সমান ‘নয়। কেহ শিষ্ট কেহ অশিষ্ট, কেহ হিংসুক, কেহ নম্র, কেহ গৰ্ব্বিত, ইত্যাদি । • তবে কেমন করিয়া বলি যে সকল লোক সমান ? এবং কেমন করিয়াই বা সকল লোককে সমান ভাবিয়া শত্রু মিত্র সকলকে সমান ভালবাসি ? কি খষ্টান কি মুসলমান কি অপর কোন ধৰ্ম্মাবলম্বী কেহই একথার উত্তর দিতে পারেন না। কাহারো ধৰ্ম্মশাস্ত্রে সমত্ববাদের মূল বা হেতু দেখিতে পাই না। সকলেই প্রীতিবাদ সংস্থাপনার্থ প্রকৃত বৈষম্যকে জোর করিয়া সমত্ব বলিয়া মনু করেন, জোর করিয়া সমত্ববাদ প্ৰতিপন্ন করেন। কিন্তু জোর করিয়া বৈষম্যকে সমত্ব বলিলে বস্তুত ক্ষণসমত্ববাদে প্ৰকৃত আস্থা বা বিশ্বাস থাকে ? বেশী ক্ষণ থাকে না বলিয়াই ইউরোপ সমত্ববাদ লইয়া এত চীৎকার করিয়াও অপর সকল দেশাপেক্ষা বেশী বৈষম্যময় প্রকৃত সমত্ববাদের মূল একমাত্র হিন্দুশাস্ত্ৰে আছে । সুখ সম্পদ স্বাস্থ্য লোভ, মোহ মাৎসৰ্য্য ঈর্ষ্য দ্বেষ প্রভৃতি যে সকল বস্তু লোক মধ্যে পার্থক্য স্বষ্টি করে অর্থাৎ এক ব্যক্তিকে অপর এক ব্যক্তি হইতে পৃথক করিয়া উভয় মধ্যে সমত্ব বিনাশ করে হিন্দু শাস্ত্ৰ মতে সে সকল বস্তু বস্তুই নয়, স্থল ব্ৰহ্মাণ্ডের স্থল অবস্থার ऊर्थीं९ স্থল ইন্দ্ৰিয়ের স্থল এবং ক্ষণিক উপলব্ধি মাত্র। একথা যে সত্য এবং আধুনিক বিজ্ঞানসন্মত, তাহা সোহহং নামক প্রবন্ধে বুঝাইয়াছি। অতএব জ্ঞানী এবং তত্ত,দর্শীর বিবেচনায় যাহা দ্বারা লোক মধ্যে ক্ষণিক বৈষম্য ঘটে, তাহা নাই বলিলেই হয়, যাহা প্ৰকৃত পক্ষে আছে, তাহা কেবল সেই নিত্য ব্ৰহ্ম পদার্থ ; সে পদার্থ সকল লোকেই সমান, সকল,