পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বিতীয় সম্ভার).djvu/২০৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

২১:৫৬, ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ অন্ততঃ তাহার নিতান্ত অনুরক্ত পিরপুরের মুসলমান প্রজারা চক্ষু মেলিবেই। তাহার ইনজিনিয়ারিং শিক্ষা এতদিন পরে এমন একটা মহৎ কাজে লাগাইবার স্থযোগ উপস্থিত হইয়াছে মনে করিয়া সে মনে মনে প্রফুল্ল হইয়। উঠিল। ছোটবাবু! অকস্মাৎ কান্নার স্বরে আহ্বান শুনিয়া রমেশ মহাবিস্ময়ে মূখ ফিরাইয়া দেখিল, ভৈরব আচাৰ্য্য ঘরের মেঝের উপর উপুড় হইয়া পড়িয়া স্ত্রীলোকের স্থায় ফুলিয়া ফুলিয়া কঁদিতেছে। তাহার সাত-আট বৎসরের একটি কন্যা সঙ্গে আসিয়াছিল ; বাপের সঙ্গে যোগ দিয়া তাহার চীৎকাবে ঘর ভরিয়া উঠিল। দেখিতে দেখিতে বাড়ির লোক যে যেখানে ছিল, দোর-গড়ায় আসিয়া ভিড় করিয়া দাডাইল । রমেশ কেমন যেন একরকম হতবুদ্ধি হইয়া গেল। এই লোকটার কে মহিল, কি সৰ্ব্বনাশ হইল, কাহাকে জিজ্ঞাসা করিবে, কেমন করিয়া কান্না থামাইবে, কিছু যেন ঠাওর পাইল না। গোপাল সরকার কাজ ফেলিয়া ছুটিয়া আসিয়াছিল। সে কাছে আসিয়া ভৈরবের একটা হাত ধরিয়া টানিতেই ভৈরব উঠিয়া বসিয়া দুই বাহু দিয়া গোপালের গলা জড়াইয়া ধরিয়া ভয়ানক আৰ্ত্তনাদ করিয়া উঠিল। এই লোকটা অতি অল্পতেই মেয়েদের মত কঁাদিয়া ফেলে স্মরণ করিয়া রমেশ ক্রমশঃ যখন অধীর হইয়া উঠিতেছিল, এমন সময় গোপালের বহুবিধ সাধনাবাক্যে ভৈরব অবশেষে চোখ মুছিয়া কতকটা প্রকৃতিস্থ হইয়া বসিল এবং এই মহাশোকের হেতু বিবৃত করিতে প্রস্তুত হইল। বিবরণ শুনিয়া রমেশ স্তন্ধ হইয়া বসিয়া রহিল। এতবড় অত্যাচার কোথাও কোনকালে সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া সে কল্পনা করিতেও পারিল না। ব্যাপারটা এই-ভৈরবদের সাক্ষ্যে ভজুয়া নিষ্কৃতি পাইলে তাহাকে পুলিশের সন্দেহদৃষ্টির বহির্ভূত করিতে রমেশ তাহাকে তাহার দেশে পাঠাইয়া দিয়াছিল। আসামী পরিত্রাণ পাইল বটে, কিন্তু সাক্ষী ফাদে পড়িল । কেমন করিয়া যেন বাতাসে নিজের বিপদের বার্তা পাইয়া ভৈরব কাল সদরে গিয়া সন্ধান লইয়। অবগত হইয়াছে যে, দিন পাঁচ-ছয় পূৰ্ব্বে বেণীর খুড়খণ্ডর রাধানগরের সনৎ মুখুয্যে ভৈরবের নামে স্বদে-আসলে এগারশ’ ছব্বিশ টাকা সাত আনার ডিক্রি করিয়াছে এবং তাহার বাস্তুটা ক্রোক করিয়া নীলাম করিয়া লইয়াছে। ইহা একতরফ ডিক্রি নহে। যথারীতি সমন বাহির হইয়াছে ; কে তাহ ভৈরবের নাম দস্তখত করিয়া গ্রহণ করিয়াছে এবং ধার্ঘ্য দিনে আদালতে হাজির হইয়া নিজেকে ভৈরব বলিয়া স্বীকার করিয়া কবুল-জবাব দিয়া আসিয়াছে। ইহার ঋণ মিথ্যা, আসাম মিথ্যা, ফরিয়াদী মিথ্যা। এই সৰ্ব্বব্যাপী মিথ্যার আশ্রয়ে সবল দুৰ্ব্বলের যথাসৰ্ব্বস্ব আত্মসাৎ করিয়া তাহাকে পথের ভিখারা করিয়া বাহিত্ব করিয়া দিবার ತಿಣ' করিয়াছে অথচ সরকারের আদালতে এই অত্যাচারে প্রতিষ্কারের উপায় সহজ মহে । আইনমত সমস্ত মিথ্য ঋণ বিচারালয়ে दै छ पै