পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (পঞ্চম সম্ভার).djvu/১১৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
 
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

২২:০১, ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেনা-পাওঁন। প্তাহার কেশাগ্র স্পর্শ করিবার দুঃসাহস করে না, সে ষে কিসের ডয়ে এ-কথা শু তাহার অবিদিত নাই। তথাপি সেই সাগরের যে মূৰ্ত্তি আজ সে চোখে দেখিয়া আসিল তাহাতে ভরসা করিবার, বিশ্বাস করিবার আর তাহার কিছুই রহিল না। সে ডাকাতি করে কিনা বলা কঠিন ; কিন্তু প্রয়োজন বোধ করিলে ইহার অসাধ্য কিছু নাই—তাহার সমস্ত আয়োজন ও উপকরণ আজও সজীব আছে, এবং মুহূর্তের আহবানে তাহারা আজও তেমনি সাজিয়া দাড়াইতে পারে, এ সংশয় আর ত ঠেকাইয়া রাখা যায় না। ছেড়া একথানা কাগজের টুকরা একপাশে পড়িয়া ছিল, অন্যমনস্কভাবে হাতে তুলিয়া লইতেই তাহার প্রদীপের আলোকে চোখে পড়িল, হৈমর চিঠির জবাবে সেদিন যে চিঠিধান সে লিখিয়াও ভাল হইল না ভাবিয়া ছিড়িয়া ফেলিয়া আর একখানা লিখিয়া পাঠাইয়াছিল ইহা তাহারই অংশ। অনেক রাত্রি জাগিয়া দীর্ঘ পত্র যখন শেষ হয়, তখন একবার যেন সন্দেহ হইয়াছিল এত কথা না লিখিলেই হইত—পরের কাছে আপনাকে এমন করিয়া ব্যক্ত করা হয়ত কিছুতেই ঠিক হইল না, কিন্তু নিদ্রাহীন সেই গভীর রাত্রে ঠিক করিবার ধৈর্য্যও আর তাহার ছিল না। কিন্তু পরদিন ডাকে ফেলিয়া দিতে যখন পাঠাইল, তখন না পড়িয়াই পাঠাইয়া দিল । তাহার ভয় হইল পাছে ইহাও সে ছিড়িয়া ফেলে –পাছে আজও তাহার হৈমকে উত্তর দেওয়া ঘটিয়া না ওঠে। এ-কয়দিন যাহা ভুলিয়াছিল, আজও একে একে সেই চিঠির কথাগুলাই মনে পড়িয়া তাহার ভারি লজ্জা করিতে লাগিল,-ভয় হইতে লাগিল পাছে তাহার নির্ধ্যাতনের কাহিনীটুকু কেহ ভুল বুঝিয়া তাহাকে রক্ষা করিতে আসিয়া উপস্থিত হয় । এই হৈম ও তাহার স্বামীকে মনে পড়িলেই মম যেন তাহার কেমন বিবশ হইয়া আসিত । ইহাদের শৃঙ্খলিত জীবন-যাত্রার ধারার সহিত তাহার বিশেষ পরিচয় নাই, তবুও কেমন করিয়া যে স্বপ্ন রচিয়া উঠিত, কেমন করিয়া যে কাজের চিন্তা তাহার এলোমেলো কল্পনায় পৰ্য্যবশিত হইত, কখনো হৈম, কখনো নিশ্বলের সূত্র ধরিয়া কি করিয়া যে ইহাই একসময়ে সমস্ত সংযমের বেড়া ভাঙিয়া অকস্মাং লজ্জায় ফাটিয়া পড়িত, তাহা যে নিজেই ভাবিয়া পাইত না । অথচ নিজের মনের এই মোহাবিষ্ট লক্ষ্যহীন গতিকে সে চিনিত, ভয় করিত, লজ্জা করিত, এবং সকল শক্তি দিয়া বর্জন করিতে চাহিত । সেই উতলা আবেগের আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষা করিতে পত্রধগু ধান খনি করিয়া ফেলিয়া দিয়া শক্ত হইয়া বসিল । মনে মনে দৃঢ়বলে কহিল, কিসের জন্য হৈমদের এত কথা আমি বলিতে গেলাম ? কোন সাহায্য তাহাদের কাছে আমি ভিক্ষা করিয়া লইব ? কিসের জন্য লই । দেবীর ভৈরবীপদের মধ্যে কি আছে যে, এমন করিয়া আঁকড়াইয়া থাকিব ? যে কেহ নিক না, কি আমার আসিয়া যায় ? ইহারা সবাই ত চোর-ডাকাত। যাহার }}}