পাতা:গল্পগুচ্ছ (চতুর্থ খণ্ড).pdf/১২১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিসংকলন থেকে
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
 
Wikisource-bot (আলোচনা | অবদান)
Pywikibot touch edit
(কোনও পার্থক্য নেই)

২২:৩২, ৭ আগস্ট ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8৯২ গল্পগুচ্ছ ঠিক সেই আলোর পথে বসে আছে মেয়েটি গাছের গড়িতে হেলান দিয়ে, পা দটি বকের কাছে গুটিয়ে নিয়ে। পাশে ঘাসের উপর পড়ে আছে একখানা খাতা, বোধ হয় ডায়ারি। বকের মধ্যে ধক করে উঠল, থমকিয়ে গেলাম। দেখলাম যেন বিকেলের লান রৌদ্রে গড়া একটি সোনার প্রতিমা। চেয়ে রইলাম গাছের গড়ির আড়ালে দাঁড়িয়ে । অপব ছবি এক মহতে চিহ্নিত হয়ে গেল মনের চিরস্মরণীয়াগারে। আমার কিতৃত অভিজ্ঞতার পথে অনেক অপ্রত্যাশিত মনোহরের দরজায় ঠেকেছে মন, পাশ কাটিয়ে চলে গেছি, আজ মনে হল জীবনের একটা কোন চরমের সংস্পশে এসে পৌঁছলাম। এমন করে ভাবা, এমন করে বলা আমার একেবারে অভ্যন্ত নয়। যে আঘাতে মানুষের নিজের অজানা একটা অপব বরপ ছিটকিনি খালে অবারিত হয়, সেই আঘাত আমাকে লাগল কী করে! অত্যন্ত ইচ্ছা করছিল ওর কাছে গিয়ে কথার মতো কথা একটা-কিছু বলি। কিন্তু জানি নে কী কথা যে পরিচয়ের সব-প্রথম কথা, যে কথায় জানিয়ে দেবে খস্টীয় পরাণের প্রথম সন্টির বgী— আলো হোক, ব্যন্ত হোক যা অব্যন্ত। আমি মনে মনে ওর নাম দিলম—অচিরা। তার মানে কী ? তার মানে এক মহেতেই যার প্রকাশ, বিদ্যতের মতো। এক সময়ে মনে হল অচিরা যেন জানতে পেরেছে কে একজন দাঁড়িয়ে আছে আড়ালে। তবধ উপস্থিতির একটা নিঃশব্দ শব্দ আছে বুঝি। একটা তফাতে গিয়ে কোমরবন্ধ থেকে ভুজালি নিয়ে একান্ত মনোযোগের ভান করে মাটি খোঁচাতে লাগলম। ঝুলিতে যা-হয় কিছু দিলম পরে, গোটাকয়েক কাঁকরের ঢেলা ৷ চলে গেলাম মাটির দিকে ঝুকে পড়ে কী যেন সন্ধান করতে বরতে। কিন্তু নিশ্চয় মনে জানি যাঁকে ভোলাতে চেয়েছিলাম তিনি ভোলেন নি। মগধ পরষচিত্তের বিহবলতার আরও অনেক দন্টান্ত আরও অনেকবার তাঁর গোচর হয়েছে সন্দেহ নেই। আশা করলাম আমার বেলায় এটা তিনি উপভোগ করলেন, সকৌতুকে কিংবা সগবে, কিংবা হয়তো বা একটা মগধ মনে। কাছে যাবার বেড়া যদি আর-একটা ফাঁক করতুম তা হলে কী জানি কী হত। রাগ করতেন, না রাগের ভান করতেন ? অত্যন্ত চঞ্চল মনে চলেছি আমার বাংলাঘরের দিকে, এমন সময় চোখে পড়ল দই টুকরোয় ছিন্ন করা একখানা চিঠির খাম। তাতে নাম লেখা ভবতোষ মজুমদার আই. সি. এস, ছাপরা। তার বিশেষত্ব এই যে, এতে টিকিট আছে, কিন্তু সে টিকিটে ডাকঘরের ছাপ নেই। বঝেতে পারলাম ছোড়া চিঠির খামের মধ্যে একটা ট্র্যাজেডির ক্ষতচিহ্ন আছে। পথিবীর ছোড়া স্তর থেকে তার বিপ্লবের ইতিহাস বের করা আমার কাজ। সেই রকম কাজে লাগলম ছোড়া খামটা নিয়ে। ইতিমধ্যে ভাবনা ধরিয়ে দিয়েছে আমার নিজের অন্তঃকরণটা। নিজের অপ্রমত্ত কঠিন মনটাকে চিনে নিয়েছি বলে পাট ধারণা ছিল। আজ এই প্রথম দেখলাম তার পাশের পাড়াতেই লুকিয়ে বসে আছে বুদ্ধিশাসনের বহির্ভূত একটা অবোধ। নিজন অরণ্যের সগভীর কেন্দ্রস্থলে একটা সুনিবিড় সমোহন আছে যেখানে চলছে তার বড়ো বড়ো গাছপালার কানে কানে চক্রান্ত, যেখানে ভিতরে ভিতরে