বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ8 নয়া বাঙ্গালার গোড়া পত্তন চলিবে না। তবে বলিয়া রাখি যে, প্রমাণের কুচে কাচা পাওয়া নেহাৎ অসম্ভব নয়। আগেই বলিয়া চুকিয়াছি যে, যৌথ পল্লী নামক প্রতিষ্ঠান ভারতে ছিল। কিন্তু আশ্চর্য্যের কথা এই যে, ভারতীয় “আধ্যাত্মিকতার” আসল প্রচারক যারা,—নীতি-স্মৃতি-ধৰ্ম্ম শাস্ত্রকারেরা, তারা এই বস্তটাকে লইয়া মাতামতি আবশ্বক বোধ করেন নাই । তারা জমিজমাকে সোজা-মুজি ব্যক্তিগত সম্পত্তি সমঝিয়াই কামুন কায়েম করিতে বসিয়াছিলেন। যৌথপল্লীর অস্তিত্ব সম্বন্ধে তারা নিৰ্ব্বিকার । যাক। দেখা যাইতেছে ষে “হিলেজ কমিনিউটি” “ছিলেজ কমিনিউটি” করিয়া ক্ষেপিয়া বেড়াইলেই তথাকথিত ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার অথবা ভারতীয় বিশেষত্বের পাণ্ডা হওয়া সম্ভবপর নয় । আবার ব্যক্তিনিষ্ঠা, ব্যক্তিগত সম্পত্তিবোধ, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি চীজ রোমাণ আইনে আছে বলিয়া সে সবকে অ-হিন্দু, অ-ভারতীয় বা অনাধ্যাত্মিক কিছু রূপে নিন্দ করা চলিবে না। জমিজমার ব্যক্তিত্ব আর ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্য যদি "পাশ্চাত্য", "খুষ্টিয়ান” বা ইয়োরোপীয়ান বলিয়া বর্জনীয় বস্তু হয়, তাহা হইলে আমাদের ঋষি-মহর্ষি মহাপ্রভুদের সকল পাতিই পাশ্চাত্য দোষদুষ্ট, খৃষ্টিয়ানি গন্ধে ভরপুর, ইয়োরোপীয়ান রঙের মাল, এক কথায় বর্জনীয়। রাজী আছেন কি ? আমি দেখিতেছি যাহা পূব, তাহী পশ্চিম । তবে বর্জন-ঠর্জনের কথা আলাদা । আমি দেখিতেছি, আর্থিক সভ্যতার গতি, পূর্বই হউক বা পশ্চিম হউক,—একদিকে আমাদের বেলায় যেটা স্ব সেটা যদি ওদের থাকে তাছা হইলে সেটাও হু নিশ্চয় । ভালয় মন্বয় পূব পশ্চিম এক পথেরই পথিক। কাজেই সমস্তাগুলা সৰ্ব্বত্রই একশ্রেণীর অন্তর্গত। সমস্তার মীমাংসা অর্থাৎ ব্যারামের দাওয়াইও পূর্বে পশ্চিমে এক-প্রকার হইবে, তাহাতে আশ্চর্ব্যের কিছুই নাই । &