br8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^ নিয়মিতরূপে খরচ করিতে হয় । আর তাতে চাষী-পরিবার মাত্রেই কমসে-কম ২২৫৷২৫০ বিঘা জমির মালিক হইবে । দেখিতেই পাইতেছেন জমিজমার আইনকামুনের গতি কোন দিকে। ভূমি-বিধানে ব্যক্তি-নিষ্ঠ বনাম সমাজ-নিষ্ঠা ছোট্ট কিষাণ-পরিবার স্বষ্টি করার অর্থ প্রথমতঃ যাদের অল্প পরিমাণ জমি আছে তাদেরকে বেশী পরিমাণ জমি পাওয়াইয়া দেওয়া । আর দ্বিতীয় প্রণালী হইতেছে একদম ভূমিহীন মজুরকে ভূমিস্বামীরূপে খাড়া করাইয়া দেওয়া। এসব সম্ভব হয় কি করিয়া ? আইনের জোরে অথবা লুটপাটের জোরে ইংরেজ এইরূপ অসাধ্য সাধন করিয়াছে। অাইনটার ধরণ-ধারণ কিরূপ? যাদের বেশী পরিমাণ জমি আছে তাদেরকে যাইয়! গবর্ণমেণ্ট বলিতেছে,—“বাবু সাহেব, তুই লাখ লাখ বিঘা জমি নিজ কজায় রাখিয়া কি করিতেছিস্ ? নিজের হাতে চাষ-আবাদ ত চালাইতে পারিস না। মজুর রাখিয়া আবাদের ব্যবসায়ে লাগিয়া যাওয়াত দেখিতেছি তোর স্বভাব নয়। আর মজুর রাখিয়া চাষ চালাইলেও লাখ লাখ বিঘা তুই কোনো দিনই আবাদ করিতে পারিবি না। অতএব তোর জমিদারির খানিকটা দে বেচিয়া । আমরাই কিনিয়া লইতেছি । কিনিয়া ছোট ছোট্ট টুকরা তৈয়ারী করিয়া চাষীদের কাছে অথবা হবু-চাষীদের কাছে বেচিয়া দিতেছি।” এ এক কিভূতকিমাকার ব্যবস্থা নয় কি ? না রোমাণ-হিন্দু আইন, না দেশাচারের হিবলেজ কমিউনিটি এই ব্যবস্থা হজম করিতে সমর্থ। গবর্ণমেণ্ট আসিয়া জমিদারকে বলিতেছে —“তোর এত জমির দরকার নাই। দে বেচিয়া আমার কাছে।” এই দৃশ্য ব্যক্তিনিষ্ঠার আবহাওয়ায়, “স্বাধীনতা”র আবহাওয়ায় দেখা যাইতে পারে না । কেননা ব্যক্তিনিষ্ঠ