বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমিজমার আইন-কানুন Ե (: আর স্বাধীন জীব যে, সে বলিবে,—“আমার লাখ লাখ বিঘা জমি রহিয়াছে। বাপদাদাদের নিকট হইতে উত্তরাধিকার-স্থত্রে অথবা নিজে খরিদ করিয়া জোৎজমা বাড়াইয়াছি। আরও বাড়াইয়া চলিব । আমার স্বাধীন খেয়ালে আমার সম্পত্তি বাড়িয়া চলিবে । তোমার ইচ্ছায় আমি কেনাবেচা করিতে যাইব কেন ? আমি জমি চষি বা না চষি, চষাই বা না চষাই, সে ত আমার খুসী। রোমাণ আইন আর হিন্দু আইন দুইই আমার স্বপক্ষে । আর উনবিংশ শতাব্দীর ইয়োরামেরিকান আইন আর বৃটিশভারতীয় আইনও আমার স্বপক্ষে । আমার নিজের পাঠা, আমি মুড়োয়ই কাটি বা ল্যাজেই কাটি তাতে অন্ত কোনো লোকের মাথা ব্যথা করিবে কেন বাবা ?” গবর্ণমেণ্ট জবাব দিতেছে —“দেখিতে পাইতেছিস না ভাই, দেশের লোকেরা আর চাষ-আবাদ করিতে পাইতেছে না । দিনকাল যা পড়িয়াছে তাতে প্রচুর পরিমাণ জমির মালিক না হইতে পাইলে চাষীরা গা ছাড়িয়া সহরের ফ্যাক্টরিতে গিয়া ঢুকিবে । তখন চাষ-ব্যবসাটাই একদম পঞ্চস্বপ্রাপ্ত হইবে । সেই অবস্থা রাষ্ট্রনৈতিক তরফ থেকে, আর্থিক তরফ থেকে, সামাজিক তরফ থেকে সকল দিক হইতেই যারপরনাই অমঙ্গলজনক । অতএব সমাজের জন্ত, রাষ্ট্রের জন্ত, দেশের জন্ত তোকে তোর স্বাধীনতা কিছু কিছু বর্জন করিতে হইবেই হইবে । আর যদি ভালয় ভালয় না বুঝিস তাহা হইলে তোর ঘাড় ভাঙ্গিয়া তোকে তোর জমিদারির কিয়দংশ আমাদের নিকট বেচাইবই বেচাইব ।” গবর্ণমেণ্টের এই নীতিই হইতেছে বিলাতী ১৯০৮ সনের আসল কথা । বিলাত এ বিষয়ে অগ্রণী নয়। বিলাতের আগে আগে গিয়াছে ডেন্মার্ক ( ১৮৯৯ )। আর ডেন্মার্কেরও দীক্ষা-গুরু হইল জাৰ্ম্মাণি ( 3b"వెe-s: ) |