বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏఏ8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন অনেকেই আশুতোষের কাছে ঋণী । এই আশুতোষ বাঙ্গলার জন্ত, বাঙ্গালীর জন্য, শিক্ষা, সাহিত্য, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যাহা করিয়া গিয়াছেন পূর্ববৰ্ত্তী পঞ্চাশ বৎসরের ইতিহাসে আর কোনো ব্যক্তি একলা তেমনটি করিতে পারেন নাই। এইরূপষ্ট আমার দৃঢ় বিশ্বাস । আমি একে গ্ৰীক পেরিফ্লেষ বা ফরাসী নেপোলিয়নের মতই জবরদস্ত দু দ্যে কৰ্ম্মবীর রূপে জগতের “পূজাস্থান” বিবেচনা করি। এখন আমার প্রশ্ন হইতেছে,— “আশুতোষ আমাদেরকে স্বষ্টি করিয়া গিয়াছেন, না, আমরা আশুতোষকে স্বষ্টি করিয়াছি ?” ১৯০৫–১৯১০ –১৯১৫ দশকের বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর লইয়ন দেখুন। আজ কলিকাতার বিশ্ববিদ্যালয় “সজ্ঞানে”—ভারতে, এমন কি ইয়োরামেরিকায়ও,—বাঙ্গালীকে বড় করিয়া তুলিয়া ধরিয়াছে, কমসে কম বড় করিয়া তুলিবার চেষ্টা করিতেছে। বিশ্ববিদ্যালয় আজ বাঙ্গালী জাতের অতি বড় দুরাকাজক্ষা প্রচার করিয়াছে । এই দুরাকাজক্ষার আসল এবং সকলের চেয়ে সেরা উৎস হইতেছেন আশুতোষ । কিন্তু এই যে বাঙ্গালীর দুরাকাজক্ষ হইয়া জগতের সামনে বাহির হইয়া পড়িতে চেষ্টা—এ কবেকার কথা ? অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে আশুতোষের কীৰ্ত্তিযুগ কতদিনকার জিনিষ ? আমার বিবেচনায় "আশুতোষের যুগ” মোটের উপর ১৯১৪-১৫ হইতে ১৯২৪-২৫ পর্য্যস্ত । একটুকু খুলিয়া বলা দরকার। ১৯১৮ সনের কথা মনে পড়িতেছে । আমি তখন একদিন আমেরিকার নিউইয়র্কে পাবলিক লাইব্রেরীতে ইয়াঙ্কি, বিলাতী, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ পত্রিকা ধাটিতেছিলাম । হঠাৎ ঐ সব বিদেশী পণ্ডিত-পরিষদের মুখপত্রে বাঙ্গালীর লেখা আমার চোখে পড়িল । বাঙ্গালীর লেখা আমেরিক-ইংলণ্ডের কাগজে বাহির হইয়াছে—একথা ভয়ানক আশ্চৰ্য্য বোধ হইল। তাও আবার একটা