বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবনের দিগ্বিজয় 36* দুটা নয়। বছরের মধ্যে এই ধরণের গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রায় দশ বারটা । তখন দেখিতে আরম্ভ করিলাম, কোন তারিখের জিনিষ এসব । হিসাব করিয়া দেখা গেল যে, মোটের উপর ১৯১৬—১৭ সনের পেছনে এ জিনিষ ঠেলিয়া দেওয়া যায় না। ঐ সময় হইতে বাঙ্গলা দেশ জ্যান্ত ভাবে দুনিয়ার সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান করিতে চাহিয়াছে। এই যুগটাই আশুতোষের যুগ । ১৯০৫ কি ১৬ তে এর পত্তন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙ্গলার কীৰ্ত্তিস্তম্ভ । কিন্তু এ কীৰ্ত্তির স্থাপয়িত কে ? আশুতোষ ?—না। আমি বলিব, যুবক ভারত । যুবক বাঙ্গলা ১৯৯৫ সনে জাগিয়াই বলিয়ছিল—“চাই আমরা স্বরাজ, চাই আমরা স্বদেশী, চাই আমরা বয়কট আর চাই জাতীয় শিক্ষা ।” এই “জাতীয় শিক্ষার” আন্দোলনটা কি চিজ. ? গোড়ার কথা হইতেছে,—বাঙ্গলার যৌবন শক্তি বুঝিয়াছিল যে, প্রাচীন দুনিয়ায় প্রাচীন ভারতের ঠাই আবিষ্কার করিতে হইবে । এই শক্তি ইংরেজ জাৰ্ম্মাণ ইত্যাদি পণ্ডিতদের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিবার প্রতিজ্ঞা করিয়াছিল । সেই আন্দোলনের দ্বিতীয় সাধনা ছিল বর্তমান যুগের জ্ঞান-বিজ্ঞান, রসায়ন, তড়িৎ, পদার্থবিদ্যা ইত্যাদি সবই বাঙ্গালীর নিজের কজায় আনিয়া কৃষি-শিল্পের উন্নতি করা । আর শিক্ষা-সাহিত্য-শিল্পের প্রতিষ্ঠানগুলাকে বাঙ্গালীর তাবে আনা—এই ছিল যুবক বাঙ্গলার তৃতীয় সংকল্প ও স্বপ্ন । ১৯০৫ হইতে ১ - সন পৰ্য্যন্ত অসমসাহসিক যুবক বাঙ্গলা তুমুলভাবে আন্দোলন চালাইয়াছিল । আশুতোষ তখন এ লাইনে কিছু করিয়াছিলেন কি ? বিশেষ কিছু করেন নাই । তিনি তখন যুবক বাংলার অনেক পেছনে পড়িয়াছিলেন । বাঙালী-যৌবনের দিগ্বিজয় যে তাহাকে একদিন হিড় হিড় করিয়া টানিয়া লইয়া যাইবে, তাহ তখনও তিনি ঠাওরাইতে পারেন নাই । _'