বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্ত্যাদড়ের দর্শন ૨૨૧ AMAT SAAAAAAASAAAA *^^^ অর্থনৈতিক মতামতের ওলট-পালট অসম্ভব নয় আর্থিক হিসাবে আমরা অবনত হইতেছি—এই মতটা আমাদের দেশে গডডলিকার মত চলিয়া আসিতেছে । আর এই ধরণের মতকে আমরা ভারত-আত্মার বাণীস্বরূপ ধরিয়া লইয়াছি । কিন্তু এসব মত টেকসই কি না তা ভাবিয়া দেখাও আমরা কর্তব্য বিবেচনা করি না। র্ত্যাদড় বলিতেছে “এই সব মতামত ঝাড়িয়া বাছিয়া দেখিবার যুগ আসিয়াছে।” স্বদেশী আন্দোলনের প্রবল স্রোত যখন ১৯৪৫ সনে বাংলাদেশের উপর দিয়া ছুটিয়া চলিয়াছিল, তখনকার দিনে রমেশচন্দ্র দত্তকে অর্থনৈতিক চিন্তা-হিসাবে সৰ্ব্বাপেক্ষা বড় পীর বলিয়া আমরা বিবেচনা করিতাম । বাস্তবিক পক্ষে আমার বিবেচনায় রমেশচন্দ্রের মত কৃতী পুরুষ উনবিংশ শতাব্দীর বাংলায় খুব কমই ছিলেন। যাক, এখানে সে কথা পাড়িতেছি না। বৃটিশ ভারতের আর্থিক ইতিহাস সম্বন্ধে তিনি স্বদেশী যুগের সমসমকালে দু’খানা বই লিখিয়া গিয়াছেন । সেই বই দু’টাই ছিল আমাদের গীতা-কোরাণ-বাইবেল স্বরূপ। কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, ১৯২৫-২৬ সনের ছোকরারা, ১৯২৫-২৬ সনের রিসার্চ-ওয়ালার, অধ্যাপকেরা কি স্বীকার করিতে প্রস্তুত আছেন যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্বন্ধে রমেশচন্দ্র যে সব কথা বলিয়া গিয়াছেন, আজকালকার দিনে তা যুবক-ভারতের বা যুবক বাংলার বেদান্ত-স্বরূপ দাড়াইতে পারে ? কিন্তু আমি জানি ১৯০৫-৬ সনে রমেশচন্দ্রের ঐ বহিকে আমরা আর্থিক বেদান্তই বিবেচনা করিতাম । এখন লোকেরা ক্রমশঃ বুঝিতেছে যে, রমেশচন্দ্রের সেই মত, যাকে আমরা ভারত-আত্মার বাণী-স্বরূপ গ্রহণ করিয়াছি, তা ভারত-আত্মার বাণী না হইতেও পারে। বাস্তবিক পক্ষে রতবর্ষের আর্থিক উন্নতি হইতেছে কি অবনতি হইতেছে, সে সম্বন্ধে