বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミミbア নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন AMAMMAMA SAMAMAMAMAMAMAMAMMAMAMAMMMAAASAAAA দু’চার জন নামজাদ লোক যা-কিছু লিখিয়াছে বা লিখিতেছে, সেগুলিকে ভারত-আত্মার বাণী বা যুবক ভারতের বেদান্ত বা জাতীয় চৈতন্তের প্রতিমূৰ্ত্তি বিবেচনা করা ত্যাদড়ের ত্যাদড়ামির পক্ষে অসম্ভব। রমেশচন্দ্র যেমন কিছু কিছু বাতিল বিবেচিত হইতেছেন, তেমনি আজকালকার বাজারে আর্থিক মতামত সম্বন্ধে যা-কিছু "ভারতীয়”, “জাতীয়”, “স্বদেশী” বলিয়া চলিতেছে, তার অনেকগুলিই বাতিল বিবেচিত হইতে চলিয়াছে এবং চলিবে । এই গেল ত্যাদড়ের ধনবিজ্ঞান। যাকে তাকে যখন তখন র্ত্যাদড়েরা ভারত-আত্মার বাণী, ভারতীয় স্বাদেশিকতার প্রতিমূৰ্ত্তি স্বীকার করিতে নারাজ। স্বদেশনিষ্ঠ বা “জাতীয়” বা “ভারতীয়” বলিয়৷ যে-সকল মত বাজারে দাড়াইতেছে সেগুলা প্রকৃতপক্ষে স্বদেশনিষ্ঠ না হইতেও পারে,—অর্থনৈতিক চিন্তা সম্বন্ধে ত্যাদড়ামির সংশয়বাদ এইরূপ । মধ্যবিত্তের স্বষ্টি ও এখন ত্যাদড়ামির তৃতীয় স্বত্র প্রচার করা যাউক । মধ্যবিত্ত সমাজ সম্বন্ধে গডডলিকাওয়ালারা বলেন—“দেখিতে পাইতেছ না তাদের কি দুরবস্থ হইয়াছে ? দেশ অবনতির দিকে যাইতেছে, তার পরিচয় আমাদের মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ।” ত্যাদড় বলিতেছে, “তা আমি স্বীকার করিতে পারি না । মধ্যবিত্তের দুরবস্থা হইয়াছে, এ কথাটা প্রমাণ করা কঠিন । হয়ত হয় নাই ।” ত্যাদড় বলিবে—“তুই যখন মধ্যবিত্ত মধ্যবিত্ত করিস তখন কয়ট লোকের নাক গুণিয়া বলিস্ ? গণনার মধ্যে খুব জোর বামুন কায়েত বৈদ্য ইত্যাদি থাকে। ব্যস, তারা গোট বাংলায় কত লাখ ?” তার চেয়ে যারা একটু উদার-প্রকৃতির লোক তারা বলিবেন —“মধ্যবিত্ত বলিতে তাদেরকেও ধরা উচিত, যারা ইস্কুল-কলেজে পাশ