বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্ত্যাদড়ের দর্শন ২২৯ করিয়াছে কি ফেল হইয়াছে, সাদা জামা, ধোওয়া কাপড়, ধোওয়া চাদর যারা পরে—এসব গুলিকে মধ্যবিত্ত বলা যাইতে পারে ” সমাজের উৎকর্ষ-বৃদ্ধি এখন আমি জিজ্ঞাসা করি, বঙ্গীয় মধ্যবিত্তের অবস্থা খারাপ একথা বুকে হাত দিয়া বলিতে পারে কয়জন বাঙ্গালী ? আমাদের ঠাকুরদাদাদের আমলে একজন লোক এণ্টন্সি পাশ করিলে দারোগ হইত, অথবা ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট কি মুন্সিফ হইত। আজকাল এম-এ, পি আর-এস, পি, এইচ ডি, ডি-এস-সি উপাধি পাইলেও অনেক সময় একটা চাকুরী জোটে না । গড্ডলিকাওয়ালার বলিতেছে “এর চাইতে বেশী প্রমাণ আর কি চাও, বাবা ?” আমি বলিতেছি—“এতে মধ্যবিত্তের দুরবস্থা কোন মতেই প্রমাণিত হয় না, প্রমাণিত হয় ঠিক উণ্টো ; দেশটা ক্রমশঃ বড় হইয়া উঠিতেছে, মধ্যবিত্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়া দেশের পক্ষে মঙ্গলকর । সামান্ত পাশের পর কেউ আজকাল হাকিম হইতে পারে না । কিন্তু যে যুগে এল-এ ফেল হইলেই একটা কেষ্ট-বিষ্ট হওয়া যাইত তার চেয়ে আজকের যুগ হাজারগুণে উন্নত। তখন ঐ রকম দারোগ বা হাকিম হইত গোট বাঙ্গালা দেশে দশ-বার জন। আর এখন হাজার হাজার লোক প্রত্যেকেই দারোগ বা হাকিম হয় না বটে, কিন্তু অন্তান্ত কিছু হয়। চল্লিশপঞ্চাশ-পচাত্তর বৎসর আগে গোট বাংলা দেশে যারা ইংরেজী পড়িত, খবরের কাগজ পড়িত, একখানি বই কিনিয়া তিন পুরুষকে উইল করিয়া দিয়া যাইত তাদেরকে “জ্ঞানী” বলা হইত। তাদের সংখ্যা ছিল বোধ হয় দেড়, দুষ্ট বা সাড়ে তিন হাজার। সে যুগটা লইয়া লাফালাফি করিবার কি আছে ? কৰ্ম্মবীর আশুতোষের কল্যাণে আজ সেখানে দশ-বার হাজার লোক এম-এ, বি এ পাশ কি ফেল হইতেছে। এরা খররের কাগজ