বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९¢७ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ভোগ-বস্তুটা আকারে ও প্রকারে বাড়িয়া যাইতেছে। আমরা নয়া নয় দফায় খরচ করিতে শিখিতেছি । কেবল শিখিতেছি মাত্র নয়,—খরচ করিবার ক্ষমতা পৰ্য্যন্ত আছে। সোজা কথায় ইহার নাম “&্যাণ্ডার্ড অব, লিহিবংয়ের" ( জীবন-যাত্রা প্রণালীর ) বহর-বৃদ্ধি । যে যে ব্যক্তি অথবা যে যে পরিবার এই সকল নতুন দফায় টাকা পয়সা ঢালিতে সমর্থ, তাহার র্তাহীদের ধাপ-দাদাদের চেয়ে উচ্চতর আর্থিক ধাপে জীবন চালাইতেছেন । এই সকল খরচপত্র বাড়ানো সম্ভবপর হইতেছে কোথা হইতে ? সকলেই যে "ঋণং কৃত্ব স্বতং পিবেং”-নীতির ধুরন্ধর এরূপ সন্দেহ করিবার কারণ নাই । আর কোনো কোনো ভোটপ্রার্থী যে অন্যান্ত দফায় খরচ কমাইতে বাধ্য হইয়াছেন এরূপ সংবাদও পাওয়া যায় নাই । মোটের উপর, অন্তান্য সাংসারিক খরচপত্রের উপরই এইটা বাড়তি খরচ । অন্যান্ত খরচও কমে নাই আর কজ্জ করিয়া ভোট কেনাও চলিতেছে না,— এই যদি অবস্থা হয় তাহা হইলে টকা-পয়সা আসিতেছে কোথা হইতে ? জবাব সোজা। বুঝা উচিত যে, নিজ নিজ আয় হইতেই খরচ চলিতেছে । যাহাদের নিজ ট্যাকে পয়সা নাই, তাহাদিগকে সাহায্য করিতেছেন হয় বন্ধুবান্ধব, না হয় সভা-সমিতি, এক কথায় “দেশের” লোক । যে পথেই টাকা অসুক না কেন, টাকাটা আসিতেছে ইহাই ধনবিজ্ঞানের তথ্য । অতএব যদি কেহ বলেন যে, অন্ততঃপক্ষে ভোটপ্রার্থীদের দলে বা সমাজে আয়ের পরিমাণ কিছু বাড়িয়াছে তবে তাহাতে সন্দেহ করা কঠিন। গোটা বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা বিগত ত্রিশচল্লিশ বৎসরের ভিতর কতটা উন্নত হইয়াছে তাহা একমাত্র এই তথ্যের জোরে আন্দাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু বাঙ্গালী সমাজের কোনো কোনো