পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さbrや নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন [ R ] যাহা হউক, হিন্দু-নরনারীর রাষ্ট্রীয় শক্তিযোগ মাপিবার আর এক উপায় হইতেছে পুরাণে ইয়োরোপের দৌড়টা চোপর দিনরাত নিজের কজায় রাখা । গ্রাস রোম এবং মধ্য যুগের ইসোরোপে গণিত, পদার্থ বিদ্ধ, রসায়ন, চিকিৎসা ইত্যাদি মুলুকে মানবজাতি কতখানি উঠিয়াছিল ? সেই উঠার তুলনায় চরক, আধ্যভট্ট, আর নাগাৰ্জুনকে মাথা হেঁট করিতে হইবে না । এই সকল বিজ্ঞান বিদ্যার আখড়ায় সেকালের হিন্দুরা বুক খাড় করিয়া,—সেকালের গ্রীক, রোমাণ এবং খৃষ্টিয়ানদের সঙ্গে টক্কর চ{লাইয়া,—সমানে সমানে “বীপের বেটা" বলিয়া পরিচিত হইবার দাবী রাখিত । “হিন্দু অ্যাচীহব মেণ্ট স্ ইন একজ্যাক্ট, সায়েন্স” অর্থাৎ “মাপজোকনিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞান-বিদ্যায় হিন্দু জাতির কৃতিত্ব” নামক গ্রন্থে নিউ ইয়র্ক, ১৯১৮ ] হিন্দুরক্তের স্রোত এই তরফ হইতে দেখানে হইয়াছে। বত্তমান গ্রন্থে রাষ্ট্র-সাধনার ময়দানে দাড়াইয়া হিন্দুন নারী গ্ৰীক রোমাণ এবং মধ্যযুগের খৃষ্টিয়ানদের সঙ্গে পাঞ্জা কষিতেছে । এই কেতাবের লড়াই বর্তমান জগতের সঙ্গে নয়,— উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী,—এবং তাহারও অনেক পূৰ্ব্বযক্তী—ইয়োরোপের সঙ্গে । “গড়ন-বিজ্ঞানে”র জাতিবিভাগ “মফলজি” বা “গড়ন”-তত্ত্ব অর্থাৎ রূপ-বিজ্ঞান সাৰ্ব্বজনক ও সনাতন। এক টুকরা হাড় দেখিবা মাত্র বলিয়া দেওয়া সম্ভব এট বাঘের বুকের পাজরা না ভেড়ার পিঠের শির-দাড় । জীবতত্ত্ববিদের