বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ছিল ১৯১৫ সনে ? এই প্রশ্নের জুড়িদার আর একটা প্রশ্ন করা যাউক । ১৯০৫ সনে “এশিয়া-তত্ত্বে’ যুবক ভারতের দখলই বা কতটা ছিল ? এই দুই প্রশ্নের জবাব নির্ভর করিবে বিদ্যা ও পাণ্ডিত্য বিষয়ক মাপকাঠির উপর । আমার বিবেচনায় ১৯০৫ সনে “এশিয়াতত্ব” সম্বন্ধে যুবক ভারতের জ্ঞান অ, আ, ক, খ পৰ্য্যন্ত গিয়াছিল কিনা সন্দেহ । ( আজ ১৯২৭ সনে অবস্থা কথঞ্চিৎ উন্নত ) ৷ ঠিক সেই মাপেই ১৯১৫ সনে যুবক চীন সম্বন্ধে ঐ মত প্রচার করিয়াছি । (২) নব্য পাশ্চাত্য-তত্ত্ব সম্বন্ধে বলিয়াছি (১৯১৫) সনে যে, চীনারা “সবে হাতে খড়ি দিতেছে।” পাশ্চাত্য শিক্ষণ চীনে কবে সুরু হইয়াছে, আর কবে কিছু পুষ্টিলাভ করিয়াছে এই সন তারিখগুলা দেখিলেই ১৯১৫ সনের বাঙ্গালীর পক্ষে চীন সম্বন্ধে ঐরুপ উক্তি প্রকাশ করা আশ্চর্য্যের হইবে না । আসল কথা, সকল প্রকার শিক্ষার অভাবই বর্তমান চীনের দুর্গতির অন্ততম বিপুল কারণ । জাপানীরা কতটা ফেঁাপরা আমার রচনায় আছে, “জাপান যে কত ফোপরা ইহারা ( ভারতীয় অভিযান ) স্বচক্ষে যাইয়া দেখুন।” আমরা ভারতে পরাধীন জাতি । এই কারণে যে-কোনো স্বাধীন জাতিকে আমরা অতি-কিছু সমঝিতে অভ্যস্ত । কিন্তু আমার বিবেচনায় এই অভ্যাসটা নিরেট তথ্যের উপর প্রতিষ্ঠিত নয় । জাপানীর স্বাধীন । তাহাদিগকে আমি “নবীন এশিয়ার জন্মদাতা” বলিয়া সম্মান করিয়া থাকি । এইজন্য অনেকে আমাকে অতিমাত্রায় জাপানী-প্রেমিক বলিয়া গালাগালিও করে । যাক সে কথা। কিন্তু তাহা সত্ত্বেও আমার মাপকাঠিতে, বাঙালীর যে-যে কৰ্ম্মক্ষেত্রে আর যে-যে বিস্তার আখড়ায় কৃতিত্ব দেখাইবার কিছু-কিছু