পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে-চীনে বৎসর দেড়েক ৩২৫ স্নযোগ পাইয়াছে, সেই সকল কৰ্ম্মক্ষেত্রে আর বিদ্যার আখড়ায় তাহারা জাপানীদের চেয়ে কোনো হিসাবে নিকৃষ্ট জীব নয় । আমরা পরাধীনতার দরুণ অনেক সময়ে আমাদের যতটুকু কৰ্ম্মদক্ষতা বা গুণপনা আছে তাহার ইজ্জৎ দিতে সঙ্কোচ করি । এই জন্য নামজাদ করিৎকৰ্ম্ম৷ কয়েকজন বাঙালী মাঝে মাঝে নিজ নিজ কৰ্ম্মক্ষেত্রের জাপানীদের সঙ্গে দহরম মহরম চালাইলে তাহারা সহজেই বুঝিবেন যে, স্বাধীন এশিয়ার লোকের পক্ষে ও “ফোপরা" হওয়া আশ্চর্য্যের কথা নয়। অর্থাৎ কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের কন্মদক্ষতা যতটা দেখানো সম্ভবপর হইয়াছে তাহা কোনো কোনো পুরা-স্বাধীন দেশের পক্ষে নিন্দনীয় নয় । এই কথারই আপ এক পিঠ হইতেছে—পৃথিবীর ( কেবল এশিয়ার নয়, ইয়েরামেরিকারও । সব কসটা স্বাধীন দেশই জ্ঞানবিজ্ঞানে “হাতী-ঘোড়া” নয়। যুবক বাঙ্গলার এই কথাটা জানা অবশ্যক । চীনাদের বিদেশী উপাধি সমালোচক বলিতেছেন, “চীন দেশের বড় পণ্ডিতরা অবশ্য ইউরোপ অথবা আমেরিক{স গিয়ে বড় উপাধি নিয়ে আসেন ন৷ ” এইখানে "বড় পণ্ডিত” শব্দ ব্যবহার করা হষ্টয়াছে । এই শব্দের অর্থ যদি ভারতীয় চতুষ্পাঠীসমূহের সংস্কৃতজ্ঞ ( এবং মোটের উপর বিদেশী ভাষা-সাহিত্যবিজ্ঞান-দর্শনে অনভিজ্ঞ ) পণ্ডিত শ্রেণীর লোক বুঝা যায় তাহা হইলে কথাটা ঠিক। কিন্তু যদি বৰ্ত্তমান চীন বা “যুবক চীন” কোথায় “উপাধি” পাইতে যায় তাহা আলোচ্য বিস্কৃয় হয় তবে বলিব যে সমালোচক যাহা খিয়াছেন খাটি অবস্থা প্রায় একদম তাহার উণ্টা। বর্তমান জগতের জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্জন করিবার “উচ্চতর” ব্যবস্থা চীনে ১৯১৫ সনে অল্প মাত্র ছিল । আমেরিকায়, ফ্রান্সে, জাৰ্ম্মানিতে ও ইংলণ্ডে না গেলে