পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন এমন কি সাধারণ বি. এ. বি. এস.সি., এম, এ, এম. এস.সি. পদের বিদ্যা লাভ করাই যুবক চীনের পক্ষে কঠিন ছিল। আস্তে আস্তে তাহাদের অবস্থা এই দিকে উন্নত হইতেছে। কিন্তু উচ্চ অঙ্গের আধুনিক শিক্ষার জন্ত “রূপ চাদ” কত লাগে ভারতে তাহা অজানা নয় । চীনারা রূপচাদে বড় বেশী সচ্ছল নয় । কাজেই বিপুল মহাদেশের জন্য “সৰ্ব্বোচ্চ” শিক্ষা বিস্তারের যথোচিত ব্যবস্থা করা আজ ১৯২৭ সনেও সম্ভবপর क्षी नाझे । চীনা ভাষায় চীনা পাণ্ডিত্য সম! লোচক বলিতেছেন, “র্তারা ( চীনা পণ্ডিতরা ) কাজ করে? থাকেন এবং সে কাজ ইংরেজিতে প্রকাশ না করে চীনা ভাষায় প্রকাশ করে থাকেন।” বলা বাহুল্য, যে লোকটা চীনা ভাষা জানে না সে এই উক্তি শুনিবা মাত্র চুপ করিতে বাধ্য। কিন্তু কথাটা বিশ্লেষণ করা সম্ভব । চীনারা কোন কোন বিদ্যাক্ষেত্রে “কাজ” করিতেছে ? বর্তমান যুগে চীনারা লেখাপড়া মুরুই করিল সেদিন। এই কয়দিনের ভিতর “বেশী” সংখ্যক চীন নরনারী “স্বদেশে” উচ্চতর অথবা “উচ্চতম” জ্ঞান-বিজ্ঞানের অধিকারী হইতে পারে নাই। এইরূপ সন্দেহ আমার ছিল ১৯১৪৷১৬ সনে। ইয়োরামেরিকায় এবং চীনে যত চীনা পণ্ডিতের,— ੱੀ, বুড়া, একেলে, সেকেলে শিক্ষিত লোকের—সঙ্গে আলাপ হইয়াছে তাহাদিগকে আধুনিক চীনা সাহিত্যের অবস্থা জিজ্ঞাসা করিয়াছি। তাহাদের নিকট বুঝিয়াছি প্রধানতঃ নিম্নরূপ। পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন ছোট বড় মাঝারী বই চীনা ভাষায় তর্জমা করা হইয়া থাকে। এই তর্জমার কাজে খৃষ্টিয়ান পাত্রীদের প্রয়াসও উল্লেখযোগ্য । বইগুলা ইস্কুল কলেজে টেকস্টবুক রূপে ব্যবহৃত হয় । o