বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে-চীনে বৎসর দেড়েক ৩২৭ কথঞ্চিৎ উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিদেশী ভাষায় লিখিত বই ব্যবহার করা হইয়া থাকে, বিদেশীদের লেখা। বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রিলাভ করিবার জন্ত চীনারা বিদেশী ভাষায়ই “র্থীসিস” (গবেষণা ) গ্রন্থ লিথিয় থাকে । ডিগ্রিলাভের জন্য যে সকল বই লেখা হয় তাহা কোনো দেশেই সাধারণতঃ অতি উচু দরের চীজ বিবেচিত হয় না। যাহা হউক, চীন ভাষায় যে আজকালকার চীনারা বড় বড় জিনিষ প্রকাশ করিতেছে তাহ বৰ্ত্তমান চীনের শিক্ষাদীক্ষা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতাশীল লোক প্রথমেই স্বীকার করিয়া লইবে না। বিশেষতঃ যুবক চীনের করিৎকৰ্ম্ম প্রতিনিধিদের নিকট হইতে যপন বস্তুনিষ্ঠরূপে নিজ নিজ কৃতিত্বের বিবরণ সংগ্ৰহ করা যায় তখন একটা অতি-কিছুর পরিচয় পাওয়া যায় না। বলা বাহুল্য আবার প্রশ্ন উঠবে,—বিদ্যা জরীপ করিবার মাপ কাঠিটা কিরূপ ? একটা দৃষ্টান্ত দিতেছি । বাঙলা ভাষায় আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক কয়েকখানা ইংরেজি বইয়ের তজ্জমা বা সার-সঙ্কলন প্রকাশিত হইয়াছে । এই সব সম্বন্ধে আমরা বঙালী হিসাবে হয়ত বলিব, “বেশ কিছু হইয়াছে।" হয়ত ১৮৫৭ সনের তুলনায় বলিব, “অনেক কিছু হইয়াছে।” কিন্তু কোনো ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ, ইংরেজ বা মাকিণ পৰ্য্যটক কি বলিবে ? জাপানকে ভাল করিয়া জানা সমালোচক বলিতেছেন—“জাপানকে ভাল করে জানলে’ আমি র্তাদের “ফোপরা” বলতাম না । জাপানী ভাষা অামি জানি না । এই পৰ্য্যন্ত ঠিক । কিন্তু কতদিন ধরিয়া কয়টা পল্পী ও সহর, কতগুলা প্রতিষ্ঠান আর কত ডজন কতপ্রকারের সুধী-শিল্পী-ব্যবসায়ীর পরিচয় জানা থাকিলে একটা দেশকে ভাল করিয়া জানা হয় তাহার বিচার করা